top of page

কালো জাদু ফার্জিয়ার গল্পঃ ৪র্থ পর্ব


না বা আমি এই ধরণের কোনো কাজ করতে পারবো না।আপনি অন্য কোনো উপায় থাকলে বলুন।

-খুব তো সোয়ানা আছিস তুই! নিজের কার্যসিদ্ধিও করবি আর আমার কথাও মানবি না।

-হ্যাঁ তাই।

-ঠিক আছে তোর কাছে আর একটা উপায় আছে।এই লোহার উতপ্প দন্ডটা তোর মুখের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করাবো আমি।আর তোর শত্রু তার ভয়ানক যন্ত্রণা অনুভব করবে...

-ঠিক আছে বাবা।তবে তাই করুন।আমি আপনার এই প্রস্তাবে রাজি।

ফার্জিয়াকে বিছানার ওপর শুইয়ে দিলো।ফার্জিয়া হা করতেই রাহমান ফকির লোহার দন্ডটা ওর মুখের ভেতরে প্রবেশ করাতে লাগলো।জিনিসটা মুখের ভেতর দিয়ে পেটের দিকে যাচ্ছে এটা অনুভব করতে পারছে ফার্জিয়া।

একটু পর ফকির বাবা ফার্জিয়ার পেট থেকে শাড়িটা সরিয়ে ফেললো।ওর নাভির ওপরে হাত ঘুরাতে লাগলো।একটা বিশ্রী শিহরণ অনুভব হচ্ছে ফার্জিয়ার।এরপর যা ঘটলো ফার্জিয়া শুধু হা করে চেয়ে রইলো।লোহার দন্ডটা ফার্জিয়ার নাভির পাশ থেকে বাইরে বেরিয়ে এলো!!!

কালোজাদুর মাধ্যমে এটাও করা সম্ভব ভাবতে পারেনি ফার্জিয়া।

তার কপাল বেয়ে ঘাম ঝরতে লাগলো।

-কাজ হয়ে গেছে কী বাবা?

-কীভাবে এতো তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হয়।।

রাহামান ফকির ফার্জিয়ার পেটের ভেতরের উতপ্ত লৌহদন্ডটা একবার বের করছে আবার প্রবেশ করছে।ফার্জিয়া তার সকল কর্মকান্ড নিশ্চুপ হয়ে দেখে যাচ্ছে।।।

এরপর রাহমান ফকির একটা বড় আকৃতির লোহা নিয়ে আসে।

লোহাটা ফার্জিয়ার গলার নরলি বরাবর রেখে একটা হাতুড় দিয়ে আঘাত করতে লাগলো।ভয়ে প্রান বেরিয়ে যাবার মত অবস্থা ফার্জিয়ার।

কিন্তু তারপরেও মনে একটা আলাদা প্রশান্তি পাচ্ছে সে।নিশ্চয়ই আইরিন এখন দারুণ কষ্ট পাচ্ছে।।সেটা কল্পনা করে করে এই পৈচাশিক দৃশ্য উপভোগ করছে সে।।।

-আর কত বাবা?

-দাড়া আর মাত্র একটা স্টেপ বাকি।

-এটা নিশ্চয়ই আরো ভয়ানক হবে।তাই না.....?

-এতো কথা না বলে চুপচাপ সবটা দেখে যা।

রাহমান ফকির একটা ঝুড়ির ভেতর থেকে দুটো দড়ি বের করে।

দড়ি দুটো ফার্জিয়ার কানের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়।ধীরে ধীরে দড়িদুটো তার নাক দিয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে।কিন্তু কী এটা!!!

ভয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে ফার্জিয়া।

তার নাকের ভেতর থেকে দুটো কুচকুচে কালো সাপ বেরিয়ে আসে।

তখন বাড়িতে.....

আইরিন চিৎকার জুড়ে দিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ে।

-বাবাগো বাবা।জ্বলে পুড়ে গেলো।আমার গলাটা জ্বলে গেলো।

ক্রমে ক্রমে আইরিনের সারা দেহে বিষ ছড়িয়ে যাচ্ছে।।।

সবার সামনে অজ্ঞান হয়ে যায় আইরিন।তারিফ তাকে কোলে করে বিছানায় শুইয়ে দেয়।।।।

-আজকের মত কাজ শেষ।এবার বাসায় ফিরে যা।

-ঠিক আছে বাবা।আমি আসি তাহলে।

-দাড়া।একটু অপেক্ষা কর।

একটা কাপড়ের পুতুল ফার্জিয়ার হাতে দিয়ে ফকির সাহেব তাকে সবটা বুঝিয়ে দেয়।কিভাবে কী করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি....

-আর হ্যাঁ।পুতুলটা যাতে ভুলেও কারোর হাতে না পড়ে।তবে কিন্তু উল্টো তোর সর্বনাশ হবে।বুঝলি।অন্য কেউ এই পুতুলটা নিয়ন্ত্রন করলে তার কুপ্রভাব তোর ওপরে পড়বে।এটা ভূলে যাস না।

-আমি বুঝে গেছি বাবা।এবার আসি আমি....

ফার্জিয়া যত দ্রুত সম্ভব বাসায় ফিরে যায়।বাসায় ফিরে সবটা বুঝতে পারে সে।আইরিন মারাত্মকভাবে ঘায়েল হয়েছে আছে।

মনে মনে ফকির বাবাকে ধন্যবাদ দেয় সে।।।

এভাবে কষ্ট দিয়ে দিয়ে আইরিনকে শেষ করবে সে.....

ফার্জিয়া পুতুলটা আলমিরার ভেতরে লুকিয়ে রাখে যাতে কেউ দেখতে না পায়।

কিন্তু তারিফ তার অজান্তেই সবটা দেখে ফেলে।মনে মনে একটা সন্দেহের উদ্রেক হয় তার।ফার্জিয়া বাইরে যেতেই পুতুলটা বের করে নিজের কাছে রেখে দেয় সে।

আজ রাতেই ফার্জিয়াকে পরীক্ষা করবে সে।দেখতে হুবহু একই রকম একটা পুতুল আলমিরার পেছনে রেখে দেয় সে.


কালোজাদুর ব্যাপারে টুকটাক জ্ঞান আছে তারিফের।একটা সুচ হাতে নিলো তারিফ।তারপর সূচের ধারালো অগ্রভাগ পুতুলটার গলা বরাবর সজোরে ঢুকিয়ে দিলো সে.












লেখক বিজ্ঞপ্তিঃ


পর্বরতি পর্ব ২০১৭ এর কোন এক দিন পাব্লিস করব, কারন এই সিরিজের অনেকটা কাগজ বণ্যার কারনে হরিয়ে ফেলেছি এবং নতুন আরেকটি সিরিজের লেখা শেষ হয়ে পড়ছে।

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ



0 comments

Recent Posts

See All
Enjoy
Free
E-Books
on
Just Another Bangladeshi
By
Famous Writers, Scientists, and Philosophers 
click here.gif
click here.gif

Click Here to Get  E-Books

lgbt-bangladesh.png
bottom of page