ব্যবহৃত কনডম ছিনতাই
ব্যবহৃত' কনডম ছিনতাই একবারই হয়েছিল পৃথিবীতে, করেছিল একটি রাজনৈতিক দলের সদস্যরা।
সাস্টের প্রক্টরকে শিবিরের ছেলেরা এসে অভিযোগ করল যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছেলে এবং মেয়েদের ভিতর অসামাজিক ঘটনা ঘটছে, তাদের কাছে অকাট্য প্রমাণ আছে। তারা বলল যে মেয়েরা এবং ছেলেরা লাইব্রেরীর অন্ধকার জায়গাগুলোতে বসেন এবং সেখানে অসামাজিক কর্মকাণ্ড করে এবং প্রমাণ হিসাবে সেখানে কনডম পড়ে রয়েছে। প্রক্টর নাজমুল আহসাব এই বিষয়টি জাফরকে জানালে সে বলল, "এটা নিশ্চয়ই মিথ্যা রটনা। একজন সুইপার নিয়ে আসা হোক, সে যেন ঐ কনডমগুলো সংগ্রহ করে, তারপরে সেটা একটা ডায়াগনস্টিক লাইব্রেরীতে পাঠানো হোক, দেখা হোক এটিই সত্যি সত্যিই ব্যবহৃত হয়েছে কিনা। ঠিকই একজন সুইপার আনা হলো, সে সব কনডম জড়ো করে একটা প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাচ্ছিল তখন শিবিরের ছেলেরা এসে তার হাত থেকে সেই কনডমের ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে চলে গেল। তারা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি যে এগুলো কেমিক্যাল অ্যানালাইসিস করার জন্য ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হতে পারে। বোঝায় যাচ্ছে যে তারাই এই কনডমগুলো সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছিল। আমার মনে হয় পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোথাও কখনো এরকম ঘটেনি যে একটি রাজনৈতিক দলের সদস্যরা এসে কিছু ব্যবহৃত কনডম ছিনতাই করে নিয়ে গিয়েছে।
-#পাদটীকাঃ উপরের অংশটুকু ইয়াসমিন হক ম্যাডামের বাংলাদেশে শিক্ষকতা জীবনের আত্মকথন '22 years at SUST' বই থেকে নেওয়া যা 'সাস্টে ২২ বছর' নামে অনুবাদ করেছেন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার। বইটি প্রকাশ করেছে তাম্রলিপি।
Courtesy Allama Mahabobe Shobahani
Comments