গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ
সূরা আল-কিয়ামাহ আয়াত ৩৭
أَلَمْ يَكُ نُطْفَةً مِنْ مَنِيٍّ يُمْنَىٰ
আলাম ইয়াকুনুতফাতাম মিম মানিইয়িইঁ ইউমনা- ।
সে কি স্খলিত বীর্য ছিল না?
সূরা আল-কিয়ামাহ আয়াত ৩৮
ثُمَّ كَانَ عَلَقَةً فَخَلَقَ فَسَوَّىٰ
ছু ম্মা কা-না ‘আলাকাতান ফাখালাকা ফাছাওয়া-।
অতঃপর সে ছিল রক্তপিন্ড, অতঃপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন।
সূরা আল-কিয়ামাহ আয়াত ৩৯
فَجَعَلَ مِنْهُ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْأُنْثَىٰ
ফাজা‘আলা মিনহুঝঝাওজাইনিযযাকারা ওয়াল উনছা- ।
অতঃপর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন যুগল নর ও নারী।
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) অধ্যায়ঃ ৪৭। তাকদীর (كتاب القدر) হাদিস নম্বরঃ ৬৬১৮ ১. মায়ের উদরে মানুষের সৃষ্টি রহস্য, তার ভাগ্যের রিয্ক, মৃত্যুস্থান, আমাল, হতভাগ্য ও সৌভাগ্য লিপিবদ্ধকরণ ৬৬১৮-(২/২৬৪৪) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ….. হুযইফাহ্ ইবনু আসীদ (রহঃ) হতে মারফু সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জরায়ুতে চল্লিশ অথবা পয়তাল্লিশ দিন বীর্য জমা থাকার পর সেখানে ফেরেশতা গমন করে। অতঃপর সে বলতে থাকে, হে আমার প্রভু! সে কি হতভাগ্য না সৌভাগ্যবান? তখন উভয়টাতে লিপিবদ্ধ করা হয়। তারপর সে বলতে থাকে, হে আমার রব! সে কি পুরুষ না মহিলা? তখন আদেশ অনুসারে উভয়টা লিপিবদ্ধ করা হয়। তার আমল, আচরণ, মৃত্যুক্ষণ ও জীবনোপকরণ লিপিবদ্ধ করা হয়। তারপর ফলকটিকে পেঁচিয়ে দেয়া হয়। তাতে কোন অতিরিক্ত করা হবে না এবং ঘাটতিও হবে না! (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৪৮৪, ইসলামিক সেন্টার ৬৫৩৬) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) অধ্যায়ঃ ৪৭। তাকদীর (كتاب القدر) হাদিস নম্বরঃ ৬৬২১ ১. মায়ের উদরে মানুষের সৃষ্টি রহস্য, তার ভাগ্যের রিয্ক, মৃত্যুস্থান, আমাল, হতভাগ্য ও সৌভাগ্য লিপিবদ্ধকরণ ৬৬২১-(৪/…) মুহাম্মাদ ইবনু আহমাদ ইবনু আবু খালাফ (রহঃ) …. আবু তুফায়ল বলেন, আমি আবূ সারীহাহ হুযাইফাহ ইবনু আসীদ আল গিফারী (রাযিঃ) এর নিকট গেলে তিনি বলেন, আমি আমার এ কান দিয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন, বীর্য জরায়ুতে চল্লিশ রাত স্থির থাকে। তারপর একজন ফেরেশতা তাকে আকৃতি প্রদান করেন। রাবী যুহায়র (রহঃ) বলেন, আমার ধারণা তিনি বলেছেন, “যাকে তিনি তৈরি করেন” তখন তিনি বলতে থাকেন, হে আমার প্রভু! সে-কি পুরুষ না মহিলা? তারপর আল্লাহ তাকে পুরুষ কিংবা মহিলা সৃষ্টি করেন। অতঃপর তিনি (ফেরেশতা) বলতে থাকেন, হে আমার রব। আপনি তাকে পূর্ণ সৃষ্টি করবেন না অপূর্ণ? তখন আল্লাহ তাকে পূর্ণ অথবা অপূর্ণ সৃষ্টি করেন। তারপর তিনি বলেন, হে আমার প্রভু! তার জীবনোপকরণ, মৃত্যুক্ষণ, চরিত্র কি হবে? তারপর আল্লাহ তা’আলা তাকে হতভাগ্যবান কিংবা সৌভাগ্যবান বানিয়ে দেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৪৮৭, ইসলামিক সেন্টার ৬৫৩৯) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ৪৮/ তাকদীর (كتاب القدر) হাদিস নম্বরঃ ৬৪৮৫ ১. মাতৃ উদরে মানুষ সৃষ্টির অবস্থা (ক্রমধারা), তার রিযক, তার মৃত্যু, তার আমল এবং তার দুর্ভাগ্য ও তার সৌভাগ্য লিপিবদ্ধকরণ ৬৪৮৫। আবূ তাহির আহমাদ ইবনু আমর ইবনু সারহ (রহঃ) … আমির ইবনু ওয়াসিলা (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, তিনি বলেছেন, হতভাগ্য সেই ব্যক্তি, যে তার মাতৃ উদর থেকে হতভাগ্য (রূপে জন্মগ্রহণ করেছে)। আর ভাগ্যবান ব্যক্তি সে, যে অন্যের কাছ থেকে উপদেশ লাভ করে। এরপর তিনি [আমির ইবনু ওয়াসিলা (রহঃ)] রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী হুযায়ফা ইবনু আসাদ গিফারী (রাঃ) এর কাছে এলেন। তখন তিনি তার কাছে আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) এর উক্তি বর্ণনা করলেন এবং বললেন, আমল ব্যতীত একজন মানুষ কিভাবে দুর্ভাগা (গুনাহগার) হতে পারে? এরপর তিনি [হুযায়ফা (রাঃ)] তাকে বললেন, তুমি কি এতে বিস্ময়বোধ করছ? আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেনঃ যখন শুক্রের উপর বিয়াল্লিশ রাত (দিন) অতিবাহিত হয়ে যায় তখন আল্লাহ তাআলা একজন ফিরিশতা পাঠান। সে সেটিকে (শুক্রকে) একটি আকৃতি দান করে, তার কান, চোখ, চামড়া, গোশত ও হাড় সৃষ্টি করে দেয়। এরপর সে বলে, হে আমার প্রতিপালক! সে কি পুরুষ, না স্ত্রীলোক হবে? তখন তোমার রব যা চান নির্দেশ দেন এবং ফিরিশতা (নির্দেশ মুতাবিক) লিপিবদ্ধ করেন। এরপর সে বলতে থাকে, হে আমার প্রতিপালক! তার বয়স কত হবে? তখন তোমার রব যা চান তাই বলেন এবং সেই মুতাবিক ফিরিশতা লিখেন। এরপর সে বলতে থাকে, হে আমার প্রতিপালক! তার জীবিকা কি হবে, তখন তোমার রব তার মর্জি মাফিক মীমাংসা করেন এবং ফিরিশতা তা লিপিবদ্ধ করেন। এরপর ফিরিশতা তাঁর হাতে একটি লিপি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। সে তাতে বাড়ায়ও না এবং কমায়ও না। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
উপরে উল্লেখিত আয়াত সমূহ থেকে আমরা জানতে পারি যে, মাতৃগর্ভে ভ্রূণ প্রথমে বীর্য অবস্থায় থাকে, তারপর রক্তপিণ্ডে পরিণত হয় এবং তারপর তাকে পুরুষ অথবা নারী বানানো হয়।
হাদিস সমূহ থেকে আমরা এবিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পাই। উপরে উল্লেখিত তিনটি হাদিস সমূহ থেকে আমরা জানতে পারি যে, জরায়ুতে মানব ভ্রূণ চল্লিশ বা পয়তাল্লিশ দিন পর্যন্ত বীর্য অবস্থায় থাকে, তারপর আল্লাহ একজন ফেরেশতা পাঠান, তিনি ভ্রূণের আকৃতি প্রদান করেন, তারপর তিনি আল্লাহ্কে জিজ্ঞেস করেন যে ভ্রূণটি পুরুষ নাকি নারী, তারপর আল্লাহ্ ভ্রূণটিকে পুরুষ ভ্রূণ বা নারী ভ্রূণ বানান। হাদিস সমূহের বিস্তারিত তথ্য থেকে আমরা পরিষ্কারভাবেই জানতে পারি যে মাতৃগর্ভে ভ্রূণ চল্লিশ বা পয়তাল্লিশ দিন পর্যন্ত থাকার পরেই তা পুরুষ ভ্রূণ অথবা নারী ভ্রূণে পরিণত হয়।
এখানে প্রথম ভুলটা হলো, ভ্রূণকে বীর্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, ভ্রূণ বীর্য অবস্থায় চল্লিশ বা পয়তাল্লিশ দিন অব্দি থাকে। ভ্রূণ কখনোই বীর্য নয় এবং তা কখনোই বীর্য অবস্থায় চল্লিশ বা পয়তাল্লিশ দিন অব্দি থাকে না।
দ্বিতীয় ভুলটা হলো, মাতৃগর্ভে চল্লিশ বা পয়তাল্লিশ দিন থাকার পর আল্লাহ্ ভ্রূণটিকে পুরুষ অথবা নারী ভ্রূণ বানান, এই বিষয়টি। মাতৃগর্ভে চল্লিশ বা পয়তাল্লিশ দিন থাকার পর ভ্রূণ তার লিঙ্গ লাভ করে না। জীববিদ্যা বিষয়ে বেসিক জ্ঞান আছে এমন যেকোনো মানুষই জানে যে লিঙ্গ নির্ধারণ নিষেকের সময়েই ঘটে।
মানুষের একটি কোষে ২৩ জোড়া ক্রোমোজম থাকে। এই ২৩ জোড়া ক্রোমোজমের একটি জোড়াকে বলে সেক্স ক্রোমোজম। সেক্স ক্রোমোজম দুই ধরনের হয়, X ক্রোমোজম এবং Y ক্রোমোজম। একজন নারীর থাকে XX, যা দুটি X ক্রোমোজম দ্বারা গঠিত জোড়া। একজন পুরুষের থাকে XY, যা একটি X ক্রোমোজম আর একটি Y ক্রোমোজম দ্বারা গঠিত জোড়া।
শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু হলো হ্যাপ্লয়েড কোষ। তারা DNA এর কেবল একটি কপি ধারণ করে। শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর উদ্ভব Meiosis নামক একধরনের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে, যেখানে একটি ডিপ্লয়েড কোষ নিজেকে বিভাজিত করে হ্যাপ্লয়েড জননকোষ সমূহের (শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু) জন্ম দেয়। এইভাবে একটি XX কোষ একটি X ডিম্বাণুর জন্ম দিবে আর একটি XY কোষ X শুক্রাণু এবং Y শুক্রাণু উভয়ের জন্ম দিবে।
নিষেকের সময়, ডিম্বাণু (সর্বদাই একটি X ক্রোমোজম আছে) যদি একটি X শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়, তাহলে ভ্রূণকোষটি হবে একটি XX কোষ এবং কন্যা সন্তানে বিকশিত হবে। অপরদিকে, ডিম্বাণু যদি একটি Y শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়, তাহলে ভ্রূণকোষটি হবে একটি XY কোষ এবং পুত্র সন্তানে বিকশিত হবে।
কোরআন পরিষ্কারভাবেই বর্ণনা করে যে, মানব ভ্রূণ বীর্য অবস্থা থেকে রক্তপিণ্ডে পরিণত হওয়ার পর তা নারী হবে নাকি পুরুষ হবে তা নির্ধারিত হয়। হাদিস পরিষ্কারভাবেই বর্ণনা করে যে, মানব ভ্রূণ চল্লিশ বা পয়তাল্লিশ দিন বীর্য অবস্থায় থাকার পর তা নারী হবে নাকি পুরুষ হবে তা নির্ধারিত হয়। এদিকে বাস্তবতা বলে, ভ্রূণ নারী হবে নাকি পুরুষ হবে তা নিষেকের সময়েই নির্ধারিত হয়, ভ্রূণের জন্মই হয় নারী ভ্রূণ বা পুরুষ ভ্রূণ হয়ে। অতএব, কোরআন ঈশ্বরের কাছ থেকে আসা কোনো কিতাব নয় এবং ইসলামের নবী একজন মিথ্যা নবী যিনি অবশ্যই ঈশ্বরের পাঠানো কোনো দূত নয়।
ভাই আপনার লেখার অনেক বড় সাপোর্টা, চালিয়ে যান আমরা আপ্নার সাথে আছি
আপনার ইসলামের উপড় দক্ষতা অসাধারণ, কিন্ত আফসোস আপনি আপ্নার জ্ঞান বিপথে ব্যবহার করছণ
Nice
Someday We will treat you so well that your mom will consider that she should have kept her legs closed
যে জাতি গ্যানি লোকের স্মরণ রাখে না সে দেশে গ্যানি জন্মে না।