কালো জাদু পর্বঃ ১ম
আমি মাসুদ আমার জীবনের 2 টি ঘটনা গত কয়েক পূর্বে লিখে জানিয়েছি আপনাদের। বেশ কিছু দিন অনেক বিজি ছিলাম তাই নতুন কোন ঘটনা লেখা হচ্ছিল না। কিন্তু বেশ কিছু শুভা কাঙ্ক্ষিরা আমায় অনুরোধ করছিল আরো কিছু ঘটনা শেয়ার করতে তাই আজ লিখতে বসা। আজ যে ঘটনা টা বলব তা হচ্ছে আমার ছোট বেলার খুব কাছের এক বন্ধুর। ওর নাম বাবু, পড়াশোনা শেষ করে একটা বিজনেস শুরু করে। খুব ভাল ভাবেই চলছিল সব। নিজের টাকায় মায়ের অপারেশন করলো। বাবাকে হজ্জ করিয়ে আনলো এবং তাবলিগে চিললায় ও পাঠালো। শহরে বেশ দামী এক জায়গা ও কিনলো। এক কথায় দিন দিন খুবই উন্নতি হতে লাগলো বাবুর।
ওর বড় বোন ও তার জামাই বাবুদের বাড়িতে বেড়াতে এলো, সবাইকে এক করে বসিয়ে বললো,
বাবুর জন্য আমি এক মেয়ের খোঁজ পেয়েছি। মেয়ে টা খুবই ধার্মিক এবং বাবা ্মন্দিরের পূজারিকে।
বাবুর বাবা মা শুনে বলল.. জয় শ্রী রাম
এমন ধার্মিক পরিবার হলে তো আর কোন কথা নেই। তখন বাবুর বড় বোন বলল বাবু তোমার কি মতামত?
বাবু বলল তোমরা যদি ভালো মনে কর তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই। বড় বোন বলল তাহলে আগামী শুক্রবার আমরা মেয়ে দেখতে যাব। সবাই বলল ঠিক আছে।
বাবুর মনে এক অন্যরকম ভাল লাগা শুরু করতে লাগলো। রাতে আমায় ফোন দিয়ে সব খুলে বলল, আমি তো শুনে ভীষন খুশি। আমি বললাম তুমি যাও মেয়ে দেখে আসো, আমি বিয়েতে যাব ইনশাল্লাহ।
শুক্রবার এলো বাবুর পরিবারের সবাই মেয়ের বাড়িতে এলো দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে সবাই অপেক্ষা করছে মেয়ে দেখবে। কিছুক্ষন পরে পানের থালা হাতে নিয়ে লম্বা ঘুমটা দিয়ে সালাম দিয়ে সবার সামনে চেয়ারে বসলো।
ঘুমটা যখন সরিয়ে দেয়া হলো তখন বাবু অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো, মেয়ে দেখে বাবুর আর তার পরিবারের সবার পছন্দ হলো। বিয়ের তারিখ ঠিক করা হলো।
আমার কাছে এসে বাবু তার মনের কথা প্রকাশ করে বলল.. বন্ধু এতো সুন্দর মেয়ে আমি জীবনেও দেখিনি। আমি বললাম সব শ্রী কৃষ্ণের ইচ্ছা সুখী হও এই দুআ করি। বিয়ের দিন ঘনিয়ে এলো, বাবু খুব খুশি। বিয়ের দিন সকালে আমায় ফোন দিয়ে বলল মন্দিরে প্রার্থনাতেে রওনা দিবে আমি যেন রেডি হয়ে থাকি। প্রার্থনার পর আমরা সবাই বিয়ে বাড়িতে গেলাম, যখন মেয়ের বাড়িতে গেলাম তখন মেয়ের বাবা আমাদের গাড়ির সামনে এসে বলল জামাই কে সোনার আংটি দিয়ে বরণ করবে। তখন আমি মনে মনে চিন্তা করলাম ইসলামে তো পুরুষের সোনার অলংকার ব্যবহার করা হারাম, উনি একজন আলেম হয়ে এই বাজে কাজ টা কি করে করছেন?
কিছু বললাম না আমি, উনি এসে বাবুর ডান হাত এর আঙুলে আংটি টি পড়াতে গেলেন তখন আমার চোখ উনার মুখের দিকে পড়লো। দেখলাম উনি ঠোঁট নাড়িয়ে কি যেন বিড় বিড় করে পড়ে বাবুর হাতে হাল্কা ফু দিলেন । আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। একে তো সোনার আন্টি পড়া হারাম আবার এটা পড়াতে গেলে কোন দুআ আছে নাকি? কিছুই মেলাতে পারছিলাম না। খাওয়া দাওয়া শেষ হলো। কাজী সাহেব আসলেন। আমি বাবুর পাশে বসা ছিলাম, বাবু আমায় বললো আংটি টা নাকি পড়তে ভাল লাগছে না। আমি বললাম এটা পড়া তো হারাম, বাবু বলল আপাততঃ পড়ে রাখি পরে তোমার ভাবিকে দিয়ে দিব। আমি বললাম ঠিক আছে, আমি ব্যাপার টা স্বাভাবিক ভাবেই নিলাম, ভাবলাম হয়তো আমার মনে উল্টা পাল্টা চিন্তা আসছে।

কিন্তু তখন ছিল শীতকাল, সবাই শীতে কাঁপছি কিন্তু বাবু খুব ঘামছিল, মুখ লাল হয়ে গিয়েছিল ওর, আমি একটু দুষ্টামি করে বললাম কিরে বিয়ের প্রথম দিন ই ঘেমে এই অবস্থা? তখন বাবু বললো মাসুদ আমার শরীর টা ভালো লাগছে না ।সারা শরীর দিয়ে মনে হচ্ছে আগুন বের হচ্ছে।
Comentários