Just Another Bangladeshi

Nov 6, 20182 min

আমার জীবনের গল্পঃ ৩য় পর্ব

Updated: Jul 16, 2020

প্রায়ই রাতে জানালার কপাটে জোরে জোরে ধাক্কা দেয় আর বাইরের থেকে কেউ আমার নাম ধরে ডাকে। "সৈকত"/" সৈকত"।
 
একদিন রাত আনুমানিক ২ঃ০০ টা হবে, বাইরে শব্দ হচ্ছে আব্বু খুব রাগ করে উঠে গেলেন। আম্মু ভয় পেয়ে বললেন- থাক ঘুমাও আর কয়েকটি দিন মাত্র।
 
আব্বু কথা শুনলেন না, উঠে ঘরের আলো জ্বালিয়ে বাইরের সদর দরজাটার দিকে এগুলেন। বাইরে ধুমধাম শব্দ তখনও হচ্ছে। আব্বু দরজা খুলে হাক দিলেন, "বাইরে কে রে..!!!!"
 
কি আশ্চর্য.! সব শব্দ বন্ধ। আব্বু দরজা বন্ধ করে দিতেই বাসার চালায় ধুম করে বড় কিছু পরার আওয়াজ হলো.!! আমি ঘুম থেকে উঠে চিৎকার শুরু করে দিলাম, আম্মু অনবরত কেদে চলেছে। সে রাতে আর কারো ঘুম হলো না।
 
এমন করে দিন চলতে লাগলো, কি যে ভয়াবহ সে রাত গুলো ছিলো আম্মু বলতে গেলে এখনও শিউরে ওঠেন।
 
.
 
ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তান থেকে বড় হুজুর আসলেন। নানা আমার ব্যাপারে কথা বললেন তার সাথে, তিনি বল্লেন এশার পর আমায় নিয়ে যেতে। আম্মু আব্বু আমায় নিয়ে এশার পর তার কাছে গেলেন।
 
এরপর আসলে কি কি করেছিলেন আম্মু কখনও আমায় বলেন নি। আমিও অতটা আগ্রহ নিয়েও শুনিনি। কিন্তু এইটুকু জানি আমায় অনেক গুলো তাবিজ দিয়েছিলেন। আম্মু আব্বুকে অনেকগুলো আমল করতে বলেছিলেন। আমার গলা কোমর ভর্তি তাবিজ, ঘরের ভিতর তাবিজ। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ সব সমস্যা চলে গেলো। হুজুর নাকি আম্মুকে বলেছিলো আমার সাথে পুরুষ জ্বীন ছাড়াও এক্টা মেয়ে জ্বীন আছেন। সবাই ছাড়লেও উনি আমায় ছাড়বেন না।
 
পুরো বছরটা খুব ভালো গেলো আলহামদুলিল্লাহ। আবার ডিসেম্বর চলে এলো বড় হুজুর আসলেন আমায় দেখলেন। সব তাবিজ খুলে ফেল্লেন। বল্লেন শুধু ঘরের ভিতর এক্টা পিতলের পয়সার মত তাবেজ আছে ওটা ঝুলিয়ে রাখতে হবে সারাজীবন।
 
এরপর আর বড় হুজুরের কাছে যাওয়া হয় নি, তিনিও তার কয়েক বছর পর পরলোক গমন করলেন। আল্লাহ উনাকে বেহেশত নিসিব করুক, আমিন।.... (চলবে)

আমার তাবিজ সহ একটা ছবি আছে পিচ্চি কালের, কিন্তু সেন্সর বোর্ড আটকিয়ে দিবে তাই দিতে পারছি না।
 
কি মনে হচ্ছে..!!! শেষ..!?!
 
আমি বেচে গেছি..!?
 

 


 

    1