top of page

ঈশ্বর ব্যতীত

আলোচনার বিষয় যাইহোক না কেন, কোনো প্রশ্নের প্রকৃত উত্তর আমরা জানি না মানে এই নয় যে একটি অসমর্থিত ও অপ্রমাণিত উত্তর আমাদের সত্য বা প্রকৃত উত্তর বলে ধরে নিতে হবে। কোনো প্রশ্নের প্রকৃত উত্তর না জানা একটি অসমর্থিত ও অপ্রমাণিত উত্তর ধরে নেওয়ার জন্য যুক্তিসিদ্ধ কারণ নয়। কোনো প্রশ্নের উত্তর না জানা ঈশ্বরই সেই প্রশ্নের একমাত্র উত্তর বলে ধরে নেওয়ার জন্য যুক্তিসিদ্ধ কারণ হতে পারে না।


প্রমাণের বোঝা সর্বদাই সেই ব্যক্তির ওপর থাকে যিনি কোনো দাবি করেন। “God did it” বা “এটা ঈশ্বরের অবদান” ডিফল্ট উত্তর নয়।

কোনো প্রশ্নের প্রকৃত উত্তর অজানা থাকলে প্রয়োজন তদন্ত করা, এবং একটি প্রমাণ-ভিত্তিক উত্তর জোটানো, খেয়ালখুশি মতো একটি উত্তর অনুমান করা নয়।

একসময় মানুষ জানতো না, কেনো সূর্য পূর্ব থেকে পশ্চিমে যায়, কি কারণে ভূমিকম্প হয়, কেন বজ্রপাত হয়, কেন একজন মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষ অদ্ভুত আচরণ করে। হাজার বছর ধরে মানুষ সেইসব ঘটনার জন্য অতিপ্রাকৃতিক ব্যাখ্যা সমূহ সত্য বলে বিশ্বাস করে এসেছে যেইসব ঘটনার পেছনের রহস্য তারা জানেনি বা বোঝেনি।

কেউ একসময় জিজ্ঞেস করেছে, “যদি ঈশ্বর না থাকে তাহলে সূর্য কিভাবে প্রতিদিন উদিত হয়?”, “যদি ঈশ্বর না থাকে তাহলে কিভাবে বজ্রপাত ঘটে?”

হাজার বছর ধরে মানুষ এসব সরাসরি ইন্দ্রিয়গোচর ব্যাপার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং ধারাক্রমে প্রায়োগিক এবং বিশ্লেষণধর্মী পদ্ধতিতে তদন্ত করছে। এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের এই বিশ্বজগতের অসংখ্য ঘটনার পেছনের রহস্য জানতে পেরেছি এবং সেসব ঘটনার প্রত্যেকটাই প্রাকৃতিকভাবে ঘটা ঘটনা।

আমরা কখনোই কোনো অতিপ্রাকৃতিক দাবি নিশ্চিত করিনি।

কেউ যদি সঠিকভাবে জ্ঞান সংগ্রহে আগ্রহী হয়, তাহলে তার কোনো দাবি সত্য হিসেবে গ্রহণ করা উচিত নয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সেই দাবি নিরেট প্রমাণের সাথে নিরপেক্ষভাবে যাচাইকৃত না হয়।

যখন নাস্তিকরা বলে, “আমরা জানি না”, উত্তরটি হলো “আমরা জানি না”, “এটা ঈশ্বরের অবদান” নয়।

6 comments
Enjoy
Free
E-Books
on
Just Another Bangladeshi
By
Famous Writers, Scientists, and Philosophers 
click here.gif
click here.gif

Click Here to Get  E-Books

lgbt-bangladesh.png
bottom of page