শহীদদের জন্য কাদবেন না যেন
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির আগের দিন পর্যন্তও এই দেশের ৫৭ সামরিক কর্মকর্তা জানতেন না পরেরদিন তাঁদের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে। আরো ৭ বেসামরিক ঢাকাবাসীও জানতেন না তাঁরা যে জীবনের শেষদিনটা যাপন করছেন।
কিন্তু কয়েকজন মানুষ তা জানতো। তারা জানতো পরেরদিন সকালে বিডিআরের বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্দয়ভাবে হত্যা করবে। এলোপাতাড়ি গুলিতে মারা যেতে পারে আরও অনেক মানুষ।
এই কয়েকজন মানুষের অন্যতম হচ্ছে শেখ ফজলে নূর তাপস। তাপসের বাসায় বিডিআর বিদ্রোহের আগে অন্তত তিনবার এই বিদ্রোহ নিয়ে বৈঠক হয়েছে যা সে নিজে জেরায় স্বীকার করেছে।
শুধু তাই না। যে আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী এই হত্যাকান্ডে মদদ যুগিয়েছে তার ছেলে লেদার লিটনকে বিদ্রোহের এক মাস আগে জামিন করিয়েছিল এই তাপস। জামিনে মুক্ত হয়ে বিদ্রোহের সাথে যুক্ত হয় লেদার লিটন। বিদ্রোহ শেষে "বিশেষ ব্যবস্থায় ছাড়া পেয়ে" নেপালে চলে যায় লিটন।
এই তাপস কার ছেলে জানেন তো? একাত্তরে সৈয়দ কামেল বখতসহ বহু মুক্তিযোদ্ধার হত্যাকারী মুজিব বাহিনীর নেতা শেখ মণির ছেলে। আওয়ামী লীগের নয়নের মণি ৩ নভেম্বরের ক্যু-এর অন্যতম নেতা শাফায়াত জামিল এই শেখ মণিকে "বাস্টার্ড অ্যান্ড রুট অফ অল ইভিল" আখ্যা দিয়েছিলেন। এমনই খারাপ মানুষ ছিল এই শেখ মণি। স্বাধীনতা যুদ্ধে একদিনের জন্য বন্দুক না চালিয়েও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাওয়া এই মণির ভয়ে মতিঝিলের বাড়ি মালিকেরা তটস্থ থাকতো। যখন ইচ্ছা যার-তার বাড়ি দখল ছিল তার নেশা।
শেখ তাপসের সম্পদ, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বেড়েছিল ২৯ গুণ। তার কাজ হচ্ছে চোরদের জামিন করানো, টাকার বিনিময়ে দুই ব্যবসায়ীর ঝামেলা মেটানো ইত্যাদি। উকিল হিসেবে দুই পয়সার যোগ্যতা না থাকলেও, নামের শেখ অংশটার ব্যবহার করে সে এখন একটা ব্যাংকের মালিক।
এই খুনের পরিকল্পনাকারী চোরকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হিসেবে। কারণ সে একটা শেখ। আর আওয়ামী লীগের শেখদের সম্পত্তি।
আপনার ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই আপনার। কিন্তু নৌকায় ভোট দিয়ে এসে আবার বিডিআর বিদ্রোহের শহীদদের জন্য কাদবেন না যেন।
মূর্তি পূজারী নিপাক জাক পাকিস্তান জিন্দাবাদ
এ এক অন্য্রকম সত্য যার জন্য আমরা প্রস্তুত নই