সমকামিতা অপরাধ নয়
- Just Another Bangladeshi
- Oct 15, 2020
- 1 min read

সমকামী, উভকামী, রুপান্তরকামী, তথা এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষেরও নিজের পছন্দমতো যৌনসঙ্গী বেছে নেবার অধিকার আছে৷ এটা তাঁদের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে৷ সামাজিক নৈতিকতার নামে ব্যক্তি বিশেষের অধিকার খর্ব করা যায় না৷ আমরা যা, সেভাবেই আমাদের গ্রহণ করতে হবে সমাজকে৷
সোসাইটি সিএসডিএস-এর এক জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, সমকামিতার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছে ৬১ শতাংশ৷ গড়ে চার জনের মধ্যে একজন মনে করেন, দুটি পুরুষ বা দুটি নারীর মধ্যে যৌনতা অন্যায় নয়৷ বয়স্কদের চেয়ে কম বয়সিরা (১৫ থেকে ১৭ বছর) সমকামিতা অন্যায় নয় বলে মনে করে৷ সমকামিতা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করে বিশ্বাস৷ সিএসডিএস সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ধর্মীয় রীতিনীতিতে যাঁদের আস্থা আছে, তাঁরা সমকামিতাকে অতটা খারাপভাবে দেখেন না, যতটা দেখেন ধর্মীয় প্রথায় যাঁদের আস্থা নেই, তাঁরা৷ প্রচলিত ধারণা ছিল এর বিপরীত৷ আরো দেখা গেছে, ছোট ছোট শহর বা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বড় বড় শহরে সমকামিতার গ্রহণযোগ্যতা অনেক কম৷ এটাও প্রচলিত ধারণার বিপরীত৷
রায় দেয়া হয়েছে ভারতে সমকামিদের পক্ষে,যাতে গতানুগতিক যৌনতার ধারণা পালটে যায় সমাজে৷ সম্পর্কের বাইরেও জীবন আছে৷ যৌনতা আছে৷এটা বোঝা দরকার৷ কারণ, পছন্দের ভিন্নতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে সংবিধান৷ এই রায়ে মুক্তি পেয়েছে প্রাইভেসি বা বলা যায় ব্যক্তি পরিসর৷ প্রচলিত সামাজিক বিধান বা সংখ্যাগরিষ্ঠতার যুক্তি, কোনোটা দিয়েই সাংবিধানিক পথ আটকানো যায় না, বৃহত্তর সমাজকে সেটা বুঝতেই হবে৷ তারপরেও একটা ‘কিন্তু' আছে৷ সমাজের একটা অংশ মনে করেন, নারী-পুরুষের যৌন সম্পর্ক একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রবৃত্তি৷ অন্যটা নয়৷
এই খবিসেরা আল্লাহর প্রদত্ত নিয়মকে অবজ্ঞা করে, কৃতিম জৈন আচারে মগ্ন হয়ে আছে, যা লুদ সম্প্রদায়ের পতনের কারণ হয়েছিলো।
আমদের আলেম সমাজকে মনে রাখতে হবে লুদ সম্প্রদায়ের মধ্যে সবাই সমকামী ছিলো না তাদের মধ্যে কিছু বিজ্ঞ আলেম, মুমিন, পরহেজগার মুসল্লীরাও ছিলো কিন্তু সমকামীদের প্রতিহত না করায় তাদের কেও আল্লাহ সুভানতাল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।
আমাদেরও যেন সেই পরিনত না হয় তাই যেখানেই পাবেন এদের, জ্ববাই করেদিবেন, তাতে আপনার দুনিয়ার নিয়ামকে হক হয়তোবা শেষ হয়ে যাবে কিন্তু জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বাচ্ছন্দ্য সাবলীল ভাবে উপোভোগ করবেন ইন্নশাল্লাহ।
গেদেরকে গণপিটুনি দিয়ে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে না হলে তাদের সংখ্যা বেরেগেলে, আমাদের ঈমান ঠিক থাকবে না।।।