যার হাত ধরে বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি
বাঙ্গালি মধ্যবিত্তের একটা চরিত্র আছে, নিজের ছাড়া কারো কথা সে ভাবে না। নিজের স্বার্থে সে সব করতে পারে। এমনকি নিজের সম্প্রদায় ও দেশের বিরুদ্ধে যেতে তার বুক কাপেঁ না। এমন একজন মানুষের সঙ্গে আজ পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। যার হাত ধরে বাংলার মাটিতে বিভেদের বটবৃক্ষ রোপিত হয়েছে।
তিনি নলিনীরঞ্জন সরকার। নেত্রকোণার মানুষ, ঢাকায় পড়াশোনা, ক্ষ্যাতিলাভ করেছিলেন কলকাতায়। হয়েছিলেন কলকাতার নগরপিতা। ১৯২৬ এ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যুর পর যে পাঁচজন নেতা প্রাদেশিক কংগ্রেস চালাতেন তাদের একজন তিনি।
১৯৩৭ সালের নির্বাচন ছিল শুধু বাংলা না পুরো ভারতবর্ষের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এবারই প্রথম (প্রায়) উন্মুক্ত নির্বাচনের বাংলার মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে। সে নির্বাচনে মুসলিমলীগ মোটেও ভালো ফলাফল করেনি। সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমানের প্রদেশে লীগ পায় ৪০ টি আসন, সেখানে কংগ্রেস ৬০। ছোট দল হিসেবে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টি ভালো ফলাফল করেছিল। ৩৬ টি আসন পায়। সরকার গঠনে দরকার ছিল ১২৫ আসন।
কোন দলই এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছিল না। এর আগে কংগ্রেস ঘোষণা দিয়েছিল তারা একক সরকার গঠন করতে না পারলে মন্ত্রিত্ব নেবে না। তবে কোন দলকে সমর্থন দিতে তাদের কোন আপত্তি নেই। শেরে বাংলার আগ্রহ ছিল কংগ্রেসের প্রতি। কারণ সেক্যুলার শেরে বাংলার চিন্তা ভাবনা কংগ্রেসের সঙ্গে যেত। নলিনীবাবুর শখ ছিল অর্থমন্ত্রী হওয়ার। কিন্তু তিনি কংগ্রেসের এমএলএ।। তার পক্ষে তো মন্ত্রি হওয়া সম্ভভ নয় কংগ্রেস-প্রজা পার্টি জোট বাধলে। কারণ কংগ্রেসের নীতিই কোয়ালিশনে মন্ত্রিত্ব না নেয়া। তিনি কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ার সুযোগ নিয়ে খাজা নাজিমউদ্দিনের মাধ্যমে শেরে বাংলার সঙ্গে মুসলিমলীগের কোয়ালিশন তৈরি করালেন। তার ফলে মুসলিমলীগ বিকশিত হওয়ার সুযোগ পেল বাংলায়। একসময় শেরে বাংলাকে সরিয়ে খাজা নাজিমউদ্দিন প্রধানমন্ত্রী হলেন। নলিনী বাবুর নেত্রকোণা হলো পাকিস্তান।
একজন হিন্দুর হাত ধরে বাংলায় মুসলিমলীগ মসনদে গেল। ছলনায় ভরা বাংলার রাজনীতি।
বাংলার হিন্দুদের মাঝে আজও এমন কছু আবাল আছে যে কিনা এদের মত বাল্ পাক্না