বাংলাদেশে ইসলামী শাসন আসা দরকার! কেন?
মুসলমানদের শরিয়া শাসনের জন্য উত্তেজনা চোখে পড়ার মত, আমার মতে সুদানের মত বাংলাদেশেও একবার অন্তত ইসলামী শাসন আসা দরকার! কেন?
কারণ সুদানে ইসলামী শাসন ছিলো বলেই সুদানিরা এখন ঘৃণা ভরে ইসলামী শাসন ও ইসলামী আইন ছুড়ে ফেলছে! তিন দশকের ইসলামী শাসনের পর তীব্র গণবিক্ষোভের মুখে পতন ঘটেছে ইসলামপন্থি ওমর আল বশিরের। ১৯৮৩ সালে প্রথম সুদানে ইসলামী আইন চালু করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জাফর নিমেইরি। সম্প্রতি ইসলামী শাসনের অবসান হওয়ার পর বর্তমান আইনমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ‘ধর্মত্যাগকে এতদিন অপরাধ হিসেবে দেখা হলেও সে আইনে পরিবর্তন আসছে৷ একই সঙ্গে নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদকে ও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে আইনে’৷
অর্থ্যাৎ এখন থেকে সুদানে যে কেউ ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করতে পারবে। একই সঙ্গে নারীদের খৎনা যা ইসলামী রীতিতে কোন অপরাধ নয় তা বাতিল ও অপরাধ বলে গণ্য হবে। নারীর তথাকথিত সতিত্ব্ রক্ষার নামে আফ্রিকার দেশগুলোতে নারীদের যৌন অনুভূতিহীন করে তোলার জন্য খৎনা করা হয় যা ইসলাম ধর্ম মতে কোন দোষ নয়। ইউনিসেফের ২০১৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী সুদানে ৮৫ শতাংশ নারীকে খৎনা করে পঙ্গু করে ফেলা হত। কিন্তু আসল যেটি সুদানের জন্য সুদিন ডেকে এনেছে সেটি সরাসরি ইসলামী শরীয়া আইনের সম্পূর্ণ বিপরীত। সুদানে শরীয়া আইন বাতিল করে এখন থেকে মহিলারা তাদের পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই সন্তানদের নিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন। সুদানের আইনমন্ত্রী জানান, ‘কোনো ব্যক্তি বা গ্রুপকে ‘বিধর্মী' বা ‘অবিশ্বাসী’ বলার অধিকার কারো নেই৷ এর ফলে সমাজের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়’।
মুসলমানরা অন্যদের ‘কাফের’ বলতে যে পরিমাণ ঘৃণা বর্ণবাদের চর্চা করে সুদানে সেটাই এখন থেকে বাতিল বলে গণ্য হবে। এটি যে একই দেশে একই জাতিসত্ত্বা হওয়ার পরও শুধুমাত্র ধর্মের ভিন্নতার কারণে বিভেদ সৃষ্টি করে সুদানিরা ইসলামী শাসনে আসার আগে হাতে কলমে বুঝতে পারেনি। বাংলাদেশী মুসলমানদেরও শরিয়া শাসনের চুলকানি চোখে পড়ার মত। আপনি যতই ইসলামী শাসনের ভয় দেখান কোন কাজ হবে না। একবার অন্তত তাদের ইসলামের আসল চেহারা না দেখালে এদের থেকে প্রগতিশীলতা আসা করাই দুরাশা! আফ্রিকার অনেকে দেশেই এক সময় ইসলামী শাসন ছিলো। তারপর সেখানে গৃহযুদ্ধ আর জঙ্গিপনায় গোটা জাতি ধ্ব্ংস হয়ে যায়। এরকম কিছু দেশে আজ বোরখা হিজাব আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ধর্ম ত্যাগের অনুমতি দেয়া হয়েছে। বহু মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জিহাদের আস্তানা হিসেবে চিহ্নিত করে। শরীয়া শাসনে ইসলামের আসল খুমা মোবারক না দেখলে কি ঐসব দেশের মুসলমানদের হাত ধরেই এই পরিবর্তনগুলো আসতে পারত?
চমৎকার লিখেছেন।
লিখাটি পড়ে খুব ভাল লাগলো।
সত্যিই দুর্দান্ত লিখেছেন….
উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে
লেখাগুলো অসাধারণ হয়েছে