দালাল কাহাকে বলে ?
সুন্দরবনে বাঘ মারা গেল। পোস্ট দিলাম। বললেন দেশে প্রতিদিন কত মানুষ মরে তার হিসাব রাখেন? কোথাকার কোন এক পশু মরছে, আছেন মিয়া ঐটা লইয়া।
বুদ্ধদেব বসু মারা গেলন। এবার মানুষ। শোক জানালাম। আপনার ভালো লাগল না। বললেন ভারতীয় দালাল। প্রতিদিন শত শত সাধারণ মানুষ মরে, পারলে তাদের নিয়ে যেন কিছু লিখি।
আপনার কথা শুনলাম। প্রতিদিন কিভাবে মানুষ মরছে, ভবিষ্যতে আরো কী কী হইতে পারে সেগুলো নিয়ে লিখলাম। আপনি বললেন থামেন মিয়া। ভয় দেখাইয়েন না তো। দেশে আরো কত কত সমস্যা আছে। মেয়েদের কত সমস্যা। গঠনমূলক কিছু লিখেন।
অথচ কয়দিন আগেও বাইরে রোদে ব্রা-পেন্টি শুকানো নিয়ে কথা বলছিলাম। তখন আপনি শরম পাইয়া বলছিলেন নাউজুবিল্লাহ। এইগুলা এটেনশন সিকার। মেয়েদের সত্যিকারের প্রবলেমগুলা নিয়া কিছু বলেন।
তখন ভাবলাম পিরিয়ড মেয়েদের একটা সিরিয়াস ব্যাপার। এইসময় অবশ্যই প্যাড ইউজ করা উচিত। বাবা বা ভাইদের অবশ্যই এই ব্যাপারটা খেয়াল রাখা উচিত। কিন্তু আপনি শরম পাইয়া গেলেন। ভাবলেন স্যানেটারি প্যাড সেক্সটয় টাইপ কিছু একটা। বললেন এইগুলা নিয়া এত খোলাখুলি আলোচনা কিসের? প্রতিদিন কত মেয়ে ধর্ষিত হয়, কোনোদিন সেইগুলা নিয়ে কিছু বলতে তো দেখলাম না।
আমি তখন হিরা মনি ধর্ষনের বিচার চাইলাম। আপনি বললেন এইসব নিয়া পোস্ট দিয়া লাভ নাই। বিচার পাবেন না। দুইদিন পর ডিপ্রেসড হইয়া যাইবেন।
তখুনি দেখলাম সম্ভবত ডিপ্রেশনে পড়ে সুশান্ত সিং রাজপুত মারা গেলেন। পোস্ট দিলাম। বললেন আছেন মিয়া বিদেশী এক সেলেব্রিটিরে নিয়া। দেশে যে কত মানুষ মরে, খোঁজ রাখেন?
আমি দেখলাম জীবন্ত ঈগল খ্যাত জাতীয় বীর সাইফুল আজম মারা গেছেন। কষ্ট পেলাম। লিখলাম। বললেন এখন মৃত্যুর পর নাকিকান্না কাঁদছি।
আচ্ছা, আপনার সব কথা মানলাম। ভাবলাম ভেজালের দরকার নাই। নিরীহ আম-কাঁঠাল নিয়াই থাকি। ট্রল করি। কিন্তু আপনার কাঁঠালানুভূতিতে আঘাত লাগল। বললেন কাঁঠাল কী কোনো ফল না, এইটা নিয়া মজা নিতে হবে?
ভাইরে ভাই, প্লিজ থামেন। আপনার অবস্থা দেখে আমরা বড় কনফিউশানে পড়ে যাই। আপনি বরং আমাদের একটা লিস্ট করে দেন আমরা কী বলব আর কী বলব না। কী লিখব আর লিখব না। নইলে মুশকিল হয়ে যাবে। আপনার যে পরিমাণ মুড সুইং হয়, মেয়েদের পিরিয়ডের সময় তাদেরও এতটা হয় না।
Comments