দ্রৌপদীর পাঁচজন স্বামী কেন?
দ্রৌপদী এ সমাজের মেয়েদের মতো কোনও সাধারণ মেয়ে ছিলেন না।
দ্রুপদ রাজার যজ্ঞের অগ্নি থেকে তাঁরজন্ম হয়েছিল।
পূর্বজন্মে তিনি এক ঋষিরকন্যা ছিলেন।
অতি কঠোর তপস্যা করেতিনি শিবের প্রীতি সাধন করেছিলেন।
তখন প্রসন্ন হয়ে শিব তাঁকে বর দিতে চাইলে তিনি করজোড়ে
শিবের কাছে পতি লাভের বাসনা ব্যাক্ত করেন।
“হে মহাদেব,
যদি প্রসন্ন হয়ে থাকেন,
তবে যাতে আমি সর্বগুণ সম্পন্ন পতি লাভে চরিতার্থ হতে পারি, এরূপ বর প্রদান করুন।'
এই কথা পাঁচবার উচ্চারণ করেন এবং
প্রতিবারই শিব ‘তথাস্তু’বলেছিলেন।
তারপর শিব বলেন,
,“হেকন্যা,তুমি পাঁচবারই পতি বাসনা করেছ,
তাই পরজন্মে রাজকন্যা রূপে
জন্ম নিয়ে দেবগুন সম্পন্ন পঞ্চপতি লাভ করবে।
”তারপর পরজন্মে সেই ঋষিকন্যা মহর্ষিউপযাজ কৃত যজ্ঞ থেকে উত্থিতা হন।
দ্রুপদ রাজার কন্যারূপে তিনি দ্রৌপদী নামে আখ্যাতা হন।
তারপর তাঁর পঞ্চপতি হওয়ার ঘটনাটিও
ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিগণ সমর্থন করেছেন ।
যখন দ্রোপদী পাঁচ বর পালেন তখন
শ্রী কৃষ্ণ সেখানে এসে বললেন:-
আগের জন্মের কথা মনে করার চেষ্টা করো দ্রোপদী।
তুমি শিবের কাছে বর চেয়েছিলে সর্বগুনের অধিকারি
স্বামী দিতে।
একটা মানুষের মধ্যে কখনো সর্ব গুন থাকেনা।
তাই তোমাকে পাঁচ স্বামী দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সর্ব গুন আছে। যুধিষ্ঠির হচ্ছে ধার্মিক। তার মধ্যে অধর্ম নেই।
ভিম হচ্ছে সব শক্তিশালী। তার মত শক্তি ধর আর কেউ নেই।
নকুল হচ্ছে সর্ব সৌন্দর্য বান।
অর্জুন হচ্ছে শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা।
আর সহদেব হচ্ছে নিতিবান।
কাউকে কখনো তার সাদ্ধের বাইরে কিছু চাইতে নেই
ভগবানের কাছে। ভগবানের কাছে অসম্ভব কিছুই নেই।
কিন্তু যে চাইবে সে তা বহন করতে পারবে কিনা তাও দেখতে হবে।
এই পাঁচ স্বামী দিয়ে তোমার বর যেমন পুর্ন হয়েছে।
তেমনি এটা তোমার জন্য অভিশাপ হয়েও থাকবে।
এই লেখাটি পড়ে সকালে সত্যি কাহিনীটি সম্পর্কে জানতে পারবেন
ধন্যবাদ তাদের এই কাহিনীটি তুলে ধরার জন্য
কাহিনী থেকে অনেক কিছু শেখার আছে
খুবই ভালো লাগলো ধর্মের এই কাহিনীটি শুনে
ধন্যবাদ দাদা অনেক কিছু জানতে পারলাম