দ্বিতীয় অধ্যায় সাংখ্য – যোগ
- Just Another Bangladeshi
- May 29, 2020
- 1 min read
শ্লোক ০১
তং তথা কৃপয়াবিষ্টমশ্রুপূর্ণাকুলেক্ষণম্।
বিষীদন্তমিদং বাক্যমুবাচ মধুসূদনঃ।।১।।
তম্ –অর্জুনকে ; তথা―এভাবে ; আবিষ্টম্―আবিষ্ট হয়ে; ঈক্ষণম্―চক্ষু ; বিষীদন্তম্―অনুশোচনা করে ; ইদম্― এই ; বাক্যম্ কথাগুলি ; উবাচ― বললেন ।
অনুবাদঃ সঞ্জয় বললেন― অর্জুনকে এভাবে অনুতপ্ত , ব্যাকুল ও অশ্রুসিক্ত দেখে , কৃপায় আবিষ্ট হয়ে মধুসূদন বা শ্রীকৃষ্ণ এই কথাগুলি বললেন।
তাৎপর্যঃ জাগতিক করুণা , শোক ও চোখের জল হচ্ছে প্রকৃত সত্তার অজ্ঞানতার বহিঃপ্রকাশ । শাশ্বত আত্মার জন্য করুণার অনুভব হচ্ছে আত্ম উপলব্ধি । এই শ্লোকে ' মধুসূদন' শব্দটি তাৎপর্যপূর্ণ । শ্রীকৃষ্ণ মধু নামক দৈত্যকে হত্যা করেছিলেন এবং এখানে অর্জুন চাইছেন , অজ্ঞতারূপ যে দৈত্য তাঁকে তাঁর কর্তব্যকর্ম থেকে বিরত রেখেছে , তাকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হত্যা করুন।

মানুষকে কিভাবে করুণা প্রদর্শন করতে হয় , তা কেউই জানে না । যে মানুষ ডুবে যাচ্ছে , তার পরনের কাপড়ের প্রতি করুণা প্রদর্শন করাটা নিতান্ত ই অর্থহীন। তেমন ই , মানুষ ভবসমুদ্রে পতিত হয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে , তার বাইরের আবরণ জড় দেহটিকে উদ্ধার করলে তাকে উদ্ধার করা হয় না। এই কথা যে জানে না এবং যে জড় দেহটির জন্য শোক করে , তাকে বলা হয় শূদ্র , অর্থাৎ যে অনর্থক শোক করে । অর্জুন ছিলেন ক্ষত্রিয় , তাই তাঁর কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ আশা করা যায় না। কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মানুষের শোকসন্তপ্ত হৃদয়কে শান্ত করতে পারেন, তাই তিনি অর্জুনকে ভগবদ্গীতা শোনালেন। গীতার এই অধ্যায় জড় দেহ ও চেতন আত্মার সম্বন্ধে বিশদভাবে আলোচনার মাধ্যমে পরম নিয়ন্তা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন― আমাদের স্বরূপ কি , আমাদের প্রকৃত পরিচয় কি । পারমার্থিক তত্ত্বের উপলব্ধি এবং কর্মফলে নিরাসক্তি ছাড়া এই অনুভূতি হয় না।
লেখাতে অনেক তথ্য উঠে এসেছে যা আমাদের সকলেরই জানা অনেক প্রয়োজন
ঠিক বলেছেন....আসলে আমরা কামনা বাসনা আসক্ত সেজন্য আমরা কর্ম থেকে বিরত হয়ে যাই
তথ্যবহুল লেখাটির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ব্লগটি পড়ে ভালো লাগলো ।