জ্বিনের সাথে বিয়ে ২য় পর্ব
আমি নিজেকে সামলে নিয়ে পরে মেয়েটার হাত
বেন্ডেজ করলাম।
মেয়েটাকে এত জিজ্ঞেস করলাম কি করে ওর
হাত পুড়ল???
মেয়েটা শুধু কান্না করল আর বলছে-
আপাগো, জানি না আমি। আমার মনে হলো কোন
এক বাতাস আমার হাত শক্ত করে ধরে গরম পানিতে
চুবিয়ে দিল।
আফা অনেক জলতাসে গো।
আমার ওর মুখে বাতাসের কথা শুনে শরীরের
লোম খাড়া হয়ে গেল।
কালকেও ত এইরকম বাতাস আমি অনুভব করেছি।
সেই বাতাস নাকি??
আমি কিছুই বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে??? আমি
এম্নেই ভীতু তার উপর দিয়ে এইগুলো আমার
কলিজা যেন ছটফট করছে।
মেয়েটার কাজ শেষ করে চলে যেত নিছিল আমি
ওকে ধরে রাখলাম বলললাম...
--আইরিন, আপু তুমি যেও না রিয়াজ আসুক তারপর
যেয়েও প্লিজ। নতুন বউ ত একা কিভাবে থাকব??
প্লিজ থাক।
মেয়েটা লক্ষি ছিল তাই আমার কথা শুনে থেকে
গেল।
আসলে ওকে রাখার অন্য কারন ছিল।
আমি এই বাড়িতে একা কিছুতেই থাকব না।
এই বাড়ির মধ্যে কিছু একটা আছে।কিন্তু যত হোক
এই বাড়ির ই ত বউ এই বাড়ি সর্ম্পকে কিভাবে
এগুলো বাহিরের মানুষের কাছে বলব।
রিয়াজ বিকেল হয়ে গেছে এখনো আসছে না।
এদিকে আইরিনেও চলে গেল ওর আম্মা নাকি
টেনশন
করবে।
আমিও ধরে রাখি নেই ছোট মানুষ তো।
কিন্তু আমার প্রচুর ভয় করছে মনে হচ্ছিল যে আমি
মারাই যাব।
রাত হয়ে গেল এখনো রিয়াজ আসে নাই
রিয়াজ কিভাবে এক নতুন বউ রেখে যেতে পারল
আমার বিষয়টা অদ্ভুত লাগছিল।
হঠাৎ কারেন্ট চলে গেল। পুরো বাড়ি অন্ধকার
হয়ে গেল। আমার যেন মনে হচ্ছে আমি আজ
মরেই যাব। আমি চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে রইলাম।
আর আয়তুল কুরসি বেশি বেশী পড়তে লাগলাম।
হঠঠঠঠঠঠঠাৎৎৎৎ..........
গত রাত্রের মত একটা বাতাস অনুভব করলাম।
যেন সে আমার কানে কানে কিছু একটা বলছে।
তখনি কেউ একজন আমার হাতটা ধরল আমি তো
চিৎকার দিয়ে উঠলাম-"বাচাও,বাচাও" তখনি একজন বলল
--শুভ জন্মদিন আমার নতুন বউ
কন্ঠটা পরিচিত চোখ খুলে দেখলাম রিয়াজ, হ্যা রিয়াজ
কেক নিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি ওকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলাম।
অভিমানের কন্ঠে বললাম...
--রিয়াজ তুমি আমাকে ছেড়ে কোথায় গেছিলে??
আমি একা একা অনেক ভয় পাচ্ছিলাম।
--সরি,লক্ষিটি আমার একটা কাজ ছিল। আর আজ তোমার
জন্মদিন। কান্না ছেড়ে কেকটা কাটতো।
আমি রিয়াজের কথায় একটু স্বস্তি পেলাম। আজ আমার
১৯বছর হয়েছে।
এত ভয়ে আতংকে আমি সব ভুলে গেছি।
অবশেষে আমি কেক কাটলাম। রিয়াজ আমাকে একটা
লকেট উপহার দিল।
রিয়াজ বলেছে-যখন তুমি ভয় পাবে তখনি এই লকেট
টা ধরে আমাকে স্মরন করবে।
আমি রিয়াজের কথায় হেসে দিলাম! বললাম...
--তুমি কি সুপারম্যান নাকি উড়তে উড়তে আমাকে
বাচাতে আসবে
--ধরে নেও তাই
রিয়াজের প্রতি যেন আমার ভালবাসা বেড়েছে
ওর আর আমার যে আরেঞ্জ মেরেঞ্জ যে
মনেই হয় না।
অইদিন আমি আর রিয়াজ আমাদের দাম্পত্য জীবন শুরু
করেছি।কিন্তু
রাত্রে আমি সেই আগের দিনের মত সপ্ন
দেখলাম।
কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেখলাম রিয়াজ আমার
পাশে। এই রকম ৪দিন এই সপ্ন দেখলাম।
ওইদিন আমি ঘুম থেকে উঠে বেল্কুনিতে দাড়ালাম।
তখনি মনে হলো অইরকম এক বাতাস যেন আমার
কোমড় ধরল। আমি এটা অনুভব করতে পারছি।
কিন্তু কেন জানি কথা বলতে পারছি না।
আমি আবার মনে সাহস করে রিয়াজ বললে চিৎকার
দিলাম।
রিয়াজ ছুটে আসল আমার কাছে। রিয়াজ ছুটে
আসতেই মনে হলল
অই বাতাস আমার কোমড় ছেড়ে দিল।
আমি রিয়াজকে ঘটনাটা বললাম।কিন্তু রিয়াজ কিছুতেই
বিশ্বাস করল না।
ও আরো আমায় বলল আমি নাকি সপ্ন দেখছি।
ও আমাকে বলল ঘুমাতে। আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
কিন্তু কিছুক্ষণ পর টের পেলাম
কেউ আমাকে বলছে কানে
তাবাচ্ছুম আমি তোমাকে নিয়ে যেতে এসেছি।
আমি কথাটা শুনে উঠে বসলাম। ওই রাত্রে আমার আর
ঘুম হল না।
সারা রাত কোরআন শরিফ পড়েছি।
সকালে রিয়াজ কাজে গেল।
পরে আইরিন অসুস্থ তাই ওর দাদি কাজে আসল।
ওর দাদী কাজ করছে আর আমার দিকে তাকাচ্ছে
মনে হচ্ছিল ওর দাদী কিছু বলতে চায়।
আবার দেখলাম ওর দাদি আমার দিকে তাকিয়ে কাজ
করছে ওনার চোখ দেখে মনে হচ্ছিল কিছু
বলতে চায়।
তখন আমি নিজেই উক্তি করে ওর দাদির কাছে
গেলাম। আর জিজ্ঞেস করলাম...
-দাদি, কিছু বলবেন
-শুন মা, তুমি একবার তোমার বাবার সাথে এই বিষয়ে
কথা বলল
-কোন বিষয় দাদি?
-তুমি তা নিজে ভাল জান। বেশি দেরী হোয়ার
আগে উনি পরে চলে গেল।
আমার আশ্চার্য লাগল উনি কিভাবে বুঝলেন
আর হ্যা বাবার কথায় বলায় মনে পড়ল আমার বাবা তো
হজুর আর উনি সপ্নের কথা বলতে পারেন।
গ্রামের অনেকেই সাহায্য করেছে বাবা।
বাবাকে এমন ই অনেকদিন হয়েছে দেখি না,
ছোট ভাইকেও দেখি না।রিয়াজ রাত্রে আসার পর
রিয়াজকে গ্রামে যাওয়ার কথা বল্লাম।
রিয়াজ প্রথমে না বললেও পরে রাজি হয়ে গেল।
পরদিন বিকেলে আমরা যাত্রা শুরু করলাম। যাত্রাপথে
আমাদের গাড়ি নষ্ট হয়ে গেল তখন সন্ধ্যার সময়
আমার বুক্টা যেন ধুকধুক করতে লাগল বাবার কাছে
যত জলদি সম্ভব যেতেই হবে,তার পর
Comments