জগন্নাথ লীলা থেকে শিক্ষা পর্ব ০২
আমরা জানি এত বড় রথযাত্রা উৎসবের তার পিছনের কাহিনী। গ্রহণের সময় যখন সবাই কুরুক্ষেত্রে স্নান করতে যায়। তখন কৃষ্ণ বলরাম আর সুভদ্রা মহারানীও গেলেন। তখন বৃন্দাবন থেকে রাধারাণীসহ সমস্ত গোপ গোপিকারা গিয়েছেন। তখন হঠাৎ রাধারাণী শুনলেন এই কুরুক্ষেত্রে কৃষ্ণ এসেছেন। তখন রাধাসহ সমস্ত বৃন্দাবনবাসী খুশি হয়েছেন। তারা সবাই কৃষ্ণকে দেখতে গেল। কিন্তু বৃন্দাবনবাসীরা কৃষ্ণকে দেখে খুশি হতে পারেননি বিশেষ করে রাধারাণী। কারন এখন যে কৃষ্ণ আমরা দেখতে পারছি তাহল দ্বারকার রাজা কৃষ্ণ যে রথে রাজবেশে বসে আছেন।
আর কৃষ্ণকে রাজবেশে দেখে রাধারাণী বলল এটা আমার বৃন্দাবনের কৃষ্ণ না। যাইহোক সবাই কৃষ্ণকে পেয়ে রাধারানী সমস্ত গোপ গোপিকাদের বলল কৃষ্ণকে নিয়ে বৃন্দাবনে যেতে। তখন কৃষ্ণ বলরামের সুভদ্রার রথের সমস্ত ঘোড়া ছেড়ে দিয়েছে। আর নিজেরাই সে রথ টেনে বৃন্দাবনে আনেন। এই লীলা থেকে জগন্নাথ পুরীতে এরকম রথযাত্রা অনুষ্ঠান হচ্ছে।
শিক্ষা - ভক্তিবিনোদ ঠাকুর এই লীলা থেকে আমাদের শিক্ষা দিচ্ছেন --- পুরীর জগন্নাথ মন্দির হচ্ছে কুরুক্ষেত্র আর গুন্ডিচা মন্দির হচ্ছে বৃন্দাবন। জগন্নাথের সমস্ত ভক্তরা এই রথ টেনে পুরীর মন্দির থেকে গুন্ডিচা মন্দিরে নিয়ে যায়। আমাদের প্রতিটি ভক্তের কর্তব্য এই রাধারানীকে সাহায্য করা। আমরা যারা রাধারাণীকে অনুসরণ করি বা রাধারাণীর দাস তাদের অবশ্যই বৃন্দাবন থেকে বের হয়ে কুরুক্ষেত্রে যেতে হবে। কারন ঐ জায়গায় রাধারাণী সাহায্য চেয়েছিল কৃষ্ণকে বৃন্দাবনে আনার জন্যে।
আমাদের প্রতিটি ভক্তের উচিত গৃহে না বসে থেকে রাধারাণীকে সাহায্য করা এবং সবাইকে প্রচার করতে হবে। প্রচারের মাধ্যমে সবাই রাধারাণীকে সাহায্য করতে পারবে এবং কৃষ্ণ সেবা করতে পারবে যার দরুন আমাদের নিত্য আলয় বৃন্দাবনে আমরা যেতে পারি। তাই প্রতিটি ভক্তের কর্তব্য হচ্ছে এই রথযাত্রাকে প্রচার করা প্রতিটি জীবের কাছে।
Kommentare