ছত্রপতি সম্ভাজী মহারাজ
১১ই মার্চ, ১৬৮৯ এই দিনে এমন এক ব্যক্তির হত্যা করা হয়েছিলো এবং এমনভাবে হত্যা করা হয়েছিলো যা ইতিহাস ভুলে না গেলেও সনাতনীরা ঠিকই ভুলে গেছে।
আওরঙ্গজেবের নিকট তাকে নিয়ে যাওয়া হলো এবং তার সামনে মাথা নত করতে বলা হলো। কিন্তু তিনি মাথা নত করবেন না।
অতঃপর তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দিলো এবং বললো যদি তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তাহলে তাকে কম নির্যাতন করা হবে।
তাকে অত্যন্ত পীড়াদায়ক মৃত্যু দেওয়া হবে যদি ইসলাম ধর্ম না গ্রহণ করেন এটা বলা হলো। কিন্তু তিনি বললেন এইসবে কোন হিন্দু ভয় পায় না, ওদের মতো মানুষরাই এসবে ভয় পায়।
অতঃপর আওরঙ্গজেব তার সাথে যা করলেন তা না কেউ কখনো আগে দেখেছে, না শুনেছে।
আওরঙ্গজেব তার দুই চোখে গরম রড ঢুকিয়ে দিলেন, জিহবা কেটে ফেললেন। নখ উপড়ে ফেললেন, শরীরের সমস্ত চামড়া বাঘনখ নাম এক অস্ত্রের মাধ্যমে তুলে ফেললেন।
তিনি আওরঙ্গজেবকে বললেন, তিনি হাজার বার জন্মগ্রহণ করবেন ও হাজারবার মৃত্যুবরণ করবেন কিন্তু কখনো সনাতন_ধর্ম কে ত্যাগ করবেন না।
অতঃপর ১১-ই মার্চে কুঠার দিয়ে তার দুই হাত, দুই পা কাটা হলো। রক্তের বন্যায় প্রতিটি মাটিকণা যেনো লোহিত রঙ ধারণ করেছিলো। তারপর মাথাটাকে দেহ থেকে আলাদা করে হত্যা করা হলো এবং শরীরকে টুকরো টুকরো করে কেটে কুকুরের সামনে দেওয়া হলো।
হ্যা, ইনিই মারাঠা সাম্রাজ্যের ২য় সম্রাট, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের জৈষ্ঠ্যপুত্র ছত্রপতি সম্ভাজী মহারাজ যিনি এত নির্যাতন সহ্য করেও অন্যায়কে মেনে নেন নি, সনাতন ধর্ম ত্যাগ করেন নি।
দেখো হিন্দুরা দেখো! তোমার পূর্বপুরুষদের গৌরবগাঁথা শুনো। তারা তো কখনো অন্যায়ের সামনে নিজের মাথা নত করেন নি! তারা তো তোমাদের মতো অবতারের আশায় বসে থাকেন নি বরং নিজেরাই অবতাররূপী কর্ম করে গেছেন।
অন্যায় সহ্য করা কখনো কোন হিন্দুর ধর্ম হতে পারে না। আসো নিজেরা জেগে উঠি, ঐক্য গড়ে তুলি। জাত-পাত ভুলে গিয়ে নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তুলি।
Comments