কালো জাদু ফার্জিয়ার গল্পঃ ৩য় পর্ব

ফার্জিয়া সূচটা তার পেটের ভেতরে ঢুকিয়ে দিতেই পাশের ঘর থেকে আইরিন চিৎকার দিয়ে ওঠে।
এরপর ফার্জিয়া একের পর এক ক্রমাগত সূচের অগ্রভাগ দিয়ে নিজের পেটের ভেতরে আঘাত করতে থাকে।
-মা গো মা।জ্বলে পুড়ে গেলো।আর সহ্য করতে পারছি না আমি।!!!
-আরে কী হলো তোমার?
-জানি না।আমি কিচ্ছু না।আহ!!!আল্লাগো।এই অসহ্য যন্ত্রনা আর সহ্য করতে পারছি না আমি।
-হায় খোদা।এতো রাতে কী করি আমি এখন?
-কিছু একটা করো তুমি।নয়তো মারা যাবো আমি।খোদা এটা কী হয়ে গেলো আমার....
তারিফ কিছুই বুঝতে পারছে না।এতো রাতে তার স্ত্রীর কী হতে পারে,ওর এই অনাকাঙ্খিত আচরণ বিচলিত করতে তুলছে তাকে।
একটু পর দরজা ঠেলে ঘরের ভেতরে ফার্জিয়া ঢুকে পড়ে।
-কী হলো আপা?আপনার কী হলো?
-আমি কিছু জানিনা বোন।আমায় বাঁচাও বোন।
-আপা এরকম কেন করছেন?কিছু তো বলুন আমায়।
-আমি কী করে বলবো।আর তুমি এই অবস্থায় ছুটে কেন এলো?
-পাগল হয়ে গেছেন আপনি?আমার বড় বোন মৃত্যুযন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে।আর আমি শুয়ে শুয়ে আরাম করবো।
ফার্জিয়া খুব ভালো করে জানে যে আইরিনের যন্ত্রনা একটু পর কমে যাবে।থাক।আজ রাতে জন্য এইটুকু যথেষ্ট।আইরিনকে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে মারতে চায় ফার্জিয়া।
একটু পর আইরিনের পেটের ব্যথাটা কমতে শুরু করে।
-এখন কেমন লাগছে আপা?
-যন্ত্রটা একটু কমে আসছে।আহ।
-তুমি কোনো চিন্তা করো না আপা?আমি তো আছি।আমি থাকতে চিন্তা কিসের?
যতপ্রকার ছলাকলা আছে সব প্রদর্শন করে ফার্জিয়া ওর স্বামীর ঘরে থেকে বিদায় নিলো।।
রাত কেটে সকাল হয়ে আসলো।
আজেকেও ফকির রাহমান সাহেবের ডেরায় যেতে হবে।কিন্তু আজ কী অজুহাত দিয়ে যাবে সে?প্রত্যেকদিন তো আর একই অজুহাত দেয়া যায় না।বাসায় কাউকে কিছু না বলে ফার্জিয়া চুপি চুপি বেরিয়ে পড়ে।ফকির বাবার ডেরায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় দেড় ঘন্টার মত লেগে গেলো।
-বাবা আমি এসে গেছি।
-এসে গেছিস।খুব ভালো করেছিস।
এবার চল আমাদের পরবর্তী কাজ শুরু করি।
-এখন কী কাজ করতে হবে বাবা।
রাহমান ফকির ফার্জিয়ার চোখ একটা কাপড় দিয়ে বেঁধে দিলো।
তার সাথে কী করতে চাইছে এই ফকির কিছুই বুঝতে পারছে না সে....
-আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আপনি বাবা?
-আহ!চুপ করে থাক না।সময় হলে সব জানতে পারবি।।প্রায় অনেকক্ষন পর ফার্জিয়ার চোখের বাঁধনটা খুলে দেয়া হলো।
চোখ মেলে চারদিকটা ঘুরে দেখতে থাকে মার্জিয়া।জায়গাটা ভীষণ অদ্ভুদ।।রাহমান ফকির হাতে করে একটা জলন্ত লোহাথন্ড নিয়ে এসে ফার্জিয়ার সামনে দাড়ালো।
লোহাটা আগুনে পুড়ে লাল টকটক করছে।
-এটা দিয়ে কি হবে বাবা?
-এইখানে বস।এই লোহার দন্ডটা তোর যোনীপথ দিয়ে জরায়ু গহব্বরে প্রবেশ করাতে হবে।
ভয়ে কেঁপে উঠলো ফার্জিয়ার দেহ।
এটা কী বলছেন আপনি বাবা?
Comentários