কুরআনে আইনস্টাইনের টাইম রিলেটিভিটি?
“আলবার্ট আইনস্টাইনের টাইম রিলেটিভিটি কুরআনে ১৪০০ বছর আগেই এসেছে”, এই দাবিটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। প্রচুর ইসলামিক ওয়েবসাইট আছে যেখানে এই দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। ইসলামকে সত্য ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করতে, কুরআনকে একটি বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ বলে প্রমাণ করতে এটি ইসলামিস্টদের মিরাকলের নামে মিথ্যাচারের আরও একটি উদাহরণ ব্যতীত কিছুই না।
কুরআন বলে, আল্লাহর একদিন মানুষের হাজার বছরের সমান। কিছু ইসলামিস্ট দাবি করে যে, কুরআনের এই কথাটি প্রমাণ করে কুরআনের লেখক আইনস্টাইনের টাইম রিলেটিভিটি সম্পর্কে জানতেন এবং তাই কুরআনের লেখক ১৪০০ আগের কোনো সাধারণ মানুষ হতে পারে না। আয়াতটি উল্লেখ করা হলোঃ
22:47
وَ یَسۡتَعۡجِلُوۡنَکَ بِالۡعَذَابِ وَ لَنۡ یُّخۡلِفَ اللّٰہُ وَعۡدَہٗ ؕ وَ اِنَّ یَوۡمًا عِنۡدَ رَبِّکَ کَاَلۡفِ سَنَۃٍ مِّمَّا تَعُدُّوۡنَ ﴿۴۷﴾
Bengali – Bayaan Foundation
আর তারা তোমাকে আযাব তরান্বিত করতে বলে, অথচ আল্লাহ কখনো তাঁর ওয়াদা খেলাফ করেন না। আর তোমার রবের নিকট নিশ্চয় এক দিন তোমাদের গণনায় হাজার বছরের সমান।
এমন একটি আয়াত বানানোর জন্য কারো থিওরী অব রিলেটিভিটি বোঝার প্রয়োজন নেই। একজন মানুষ যদি এই মহাবিশ্বের জন্য একজন ঈশ্বর কল্পনা করে, তাহলে সেই ঈশ্বরকে সে অবশ্যই একটি বিশাল সত্ত্বা হিসেবে দেখবে। ঈশ্বরের সবকিছুই তার কাছে অনেক বিশাল হবে। তার কল্পনায় যদি ঈশ্বরের দাড়ি থাকে, তাহলে ঈশ্বরের দাড়ি নিশ্চয়ই তার কল্পনায় একজন সাধারণ মানুষের দাড়ির সমান হবে না। তার কল্পনায় ঈশ্বর যদি সর্বদা একটি চেয়ারে বসে থাকে, তাহলে ঈশ্বরের চেয়ারটি নিশ্চয়ই তার কল্পনায় সাধারণ মানুষদের একটি চেয়ারের সমান হবে না। সেইভাবে একজন মানুষের কল্পনায় ঈশ্বরের একদিন সাধারণ মানুষের একদিনের চেয়ে অনেক বিশাল হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। আর তাই, আইনস্টাইনের টাইম রিলেটিভিটি নিয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই এমন একজন মানুষ যদি বলে ঈশ্বরের একদিন মানুষের একদিনের চেয়ে অনেক অনেক বিশাল, তাতে আশ্চর্যজনক কোনোকিছুই প্রকাশিত হয় না।
তাছাড়াও, একই কথা ওল্ড টেস্টামেন্টেও পাওয়া যায়। কুরআনের লেখক এটি দ্বারা অনুপ্রানিত হতে পারে।
হে প্রভু, আমাদের সমস্ত প্রজন্মের জন্য আপনি আমাদের গৃহ ছিলেন। হে ঈশ্বর, পর্বতমালার জন্মের আগে, এই পৃথিবীর এবং জগৎ সৃষ্টির আগে, আপনিই ঈশ্বর ছিলেন। হে ঈশ্বর, আপনি চিরদিন ছিলেন এবং আপনি চিরদিন থাকবেন| 3 এই পৃথিবীতে আপনিই মানুষকে এনেছেন। আপনি পুনরায় তাদের ধূলোয় পরিণত করেন। 4 আপনার কাছে হাজার বছর গতকালের মত, যেন গত রাত্রি।
মুসলিমরা যদি এটি মিরাকল বলতে চায়, তাহলে তাদের উচিত হবে এটি বাইবেলের মিরাকল বলা, কুরআনের নয়। কেননা, এটি বাইবেল আগে উল্লেখ করেছে।
বাংলাদেশের ইস্কনের পুজারিরা মনগড়া বক্তব্য দেয় কোরআন হাদিস থেকে তারা সঠিক কথা তুলে ধরেন না। এদের তাফসির আমল করতে গেলে শুধু তিনটি জিনিস পাওয়া যায় হিংসা অহংকার লোভ। তাই এদের নির্মুল করা এখন শুধু সময়ের দাবি
I am giving up every materialistic greed to be part of Janat Ul Ferdus, and I will accomplish that by sacrificing you
Bishashi ra apnake kokhonoi mene nebe na. Munaphek ke kotole kono gunah hoy na, ta alahur ketabi adesh
আইন্সটাইন এক জাহিল আর তুই আরেক জাহিল, তারা তারি তোবা কর নাইলে বাংলাদেশে যেদিন খলিফতের পতাকা উড়বে, সেইদিন তোর টুকরো টুকরো হবে।
সুনান ইবন মাজাহতে বর্ণিত একটি রেওয়ায়েত ব্যবহার করে খ্রিষ্টান মিশনারী ও নাস্তিক-মুক্তমনারা দাবি করতে চায় যেঃ কুরআনের কিছু আয়াত চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে কেননা সেগুলো যে পৃষ্ঠায় লেখা ছিল, সেটিকে একটি বকরী খেয়ে ফেলেছিল।কুরআনের সংরক্ষণকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ইসলামবিরোধীরা যেসব (অপ)যুক্তি দাঁড় করায়, তার মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত(অথবা কুখ্যাত) যুক্তি এটি। এই লেখায় সেই রেওয়ায়েতটিকে বিশ্লেষণ করে সত্য উন্মোচন করা হবে ইন শা আল্লাহ। ইবন মাজাহ এর রেওয়ায়েতটি হচ্ছেঃ
عن عائشة قالت لقد نزلت آية الرجم ورضاعة الكبير عشرا ولقد كان في صحيفة تحت سريري فلما مات رسول الله صلى الله عليه وسلم وتشاغلنا بموته دخل داجن فأكلها অর্থঃ আয়িশা(রা) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, “রজমের ও বয়স্কদের দশ ঢোক দুধপানের আয়াত নাযিল হয়েছিল এবং সেগুলো একটি সহীফায় (লিখিত) আমার খাটের নিচে সংরক্ষিত ছিল। যখন রাসুলুল্লাহ(ﷺ) ইন্তিকাল করেন…