এপ্রিল মাসেই বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের ২১টি খন্ডচিত্র তুলে ধরা হল
করোনা ভাইরাসজনিত কারণে সারাদেশে লকডাইন
থাকা অবস্থায় জ্যামিতিক হারে বেড়েছে সংখ্যালঘু নির্যাতন।। প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও ঘটেছে ঘটনা,ধরাঁছোরার বাইরে থাকছেন অপরাধীরা। Bangladesh Minority Watch পেইজ লিঙ্ক এর তথ্য ও বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে শুধুমাত্র এপ্রিল মাসের ঘটনাবলী নিম্নোক্ত তুলে ধরা হলো....
৪ এপ্রিল,
পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানার পুরান মহিপুর ইউপি নারায়ন সরকারের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে ঘর তুলেছে ভুমিদস্যু রায়হান মীর,ফারুক গংরা।।
০৬ই এপ্রিল,
যশোরের চৌগাছা থানার তিনটি গ্রামের পঞ্চাশটি হিন্দু পরিবারের ১০০ বিঘা জমি সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে জবরদখল করেছে ভুমিদস্যুর গডফাদার ইছাহাক আলী ও তার দুই পুত্র আকমল হোসেন ও আশরাফ আলী।
০৭ই এপ্রিল,
পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় অবস্থিত মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা।।
৮ই এপ্রিল,
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মহানবী কে নিয়ে কটুক্তিমূলক পোস্ট করার অভিযোগে ইন্দ্রজিত হাজারী (৩৫) নামে এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
০৯ই এপ্রিল,
রোজ বুধবার বগুরা জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কুকি কালীদাস গ্রামের শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও শিব মন্দিরের লক্ষ্মী প্রতিমা ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা।।
১০ এপ্রিল,
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে জিউধরা ইউনিয়নের ১০৪নং ডেউয়াতলা মৌজায় এসএ ৭১৭ খতিয়ানে ২৬০২ দাগের জীবন মৃধার পৈতৃক সম্পত্তি ৮ বিঘা জমির ওপরে ঘের ও বসতবাড়ি উচ্ছেদের পায়তারা করে জাহিদুল হাওলাদার গংরা।
১১ই এপ্রিল,
রোজ শনিবার ফরিদপুর আলমডাঙ্গা উপজেলার টিটুকান্দি গ্রাম নিবাসী অসিত কুমার সরকার স্থানীয় সন্ত্রাসী মোঃ শাহিন শেখকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা না দেয়ায় প্রায় ৩০জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্রামের ৩০টি বাড়িতে হামলা ভাংচুর করে।
১২ই এপ্রিল,
সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের সুধাংশু দাশের বাড়ি দখল নেওয়ার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুই লক্ষ টাকার মুল্যে গাছ কেটে নিয়ে যায় মোঃ মারফত আলী মুন্সি ও তার ছেলে।
১৩ই এপ্রিল,
পটুয়াখালী গলাচিপায় প্রভাবশালীর ইন্ধনে সদর রোডে অসহায় বিধবা বাসনা রানী দাশ ও তার ছেলে মেয়েকে পিটিয়ে জখম করে তাদের ভিটেমাটিসহ দখল করে।
১৫ই এপ্রিল,
নীলফামারী ডিমলা উপজেলায় পূজা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ধনেশ্বর রায়ের মেয়ে প্রতিমা রানীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করে নাম রেখেছে খাদিজাতুল তৌহিরা।
১৬ এপ্রিল,
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া থানার পশ্চিম সুজনকাঠি(মল্লিকপুর)গ্রামে একটি হিন্দু পরিবার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় হারুন মল্লিক ও তার দুই সন্ত্রাসী ছেলে এতে চারজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়।।
১৭ এপ্রিল,
রাজশাহী জেলার নিমাই সরকারের মেয়ে অষ্টমী সরকার(১৪)গোলাম মোস্তফা ও তার সহযোগীদের নিয়মিত উত্ত্যক্তের যন্ত্রণায় নিজ কক্ষে আপ্তহত্যা করে।
১৮ই এপ্রিল,
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ইসলাম ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করায় পরিতোষ কুমার সরকার নামের অনার্স পড়ুয়া হিন্দু যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৯শে এপ্রিল,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাও.জুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় জমায়েত নিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদের স্টাটাস দেয়ায় বাগেরহাটের ফকিরহাটের মধু কুন্ডু (৩২) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২১ এপ্রিল,
হিন্দুদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার উদ্দেশ্যে সাতকানিয়ায় ৩০টি হিন্দু পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোঃ এটিএম,জিয়া উদ্দিন,হাবিবুল্লাহ ও মুসা উদ্দিনের নেত্রীত্বে ৮০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল।এতে নারী-পুরুষসহ ২৫ জন গুরুতর জখম হয়।।
২২ এপ্রিল,
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর এলাকার পারঘাটী মন্দিরে জুয়া খেলতে বাধা দেওয়ায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর ও মারধর করেছে বখাটেরা।
২৩ এপ্রিল,
খুলনা দাকোপ উপজেলার বানিশান্তয় সুব্রত মন্ডল(৩০)কে গলাকেটে হত্যা করে দুবৃত্তরা।
২৪শে এপ্রিল,
বসতভিটে উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে বাগেরহাটে মংলায় এক হিন্দু পরিবারের ওপর হামলা চালায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা,এতে গর্ভবতী মহিলাসহ পরিবারের ৭ জন জখম হয়,এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
২৫শে এপ্রিল,
বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলায় গনকপাড়া গ্রামের জমিসংক্রান্ত বিরোধে রবিদাশের বাড়ি হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন একই ইউপির সদস্য মোঃ তরিকুল ইসলাম নেত্রীত্বে সন্ত্রাস দল।
২৬শে এপ্রিল,
লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে দুইটি মন্দিরের হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে প্রতিমা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।
২৭ এপ্রিল,
নোয়াখালী বেগমগঞ্জ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোঃ বাবুল ও তার দুই সন্ত্রাসী ছেলের নেত্রীত্বে দৌলতপুর গ্রামের নরেন্দ্র মোক্তার বাড়ির দীঘি দখলে নেওয়ার জন্য দুই জনকে পিটিয়ে জখম করে।।
২৯ এপ্রিল,
সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার শ্রী বিকাশ চন্দ্র ঘোষের ৫ বিঘা সম্পদ দখল করার মানসে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে উনার বাড়িতে ৩৫ থেকে ৪০ জন এর হামলা্লা.। ঐ সময় সোলেমান গাজীর হাতে থাকা লাইসেন্স ধারী বন্ধুক দিয়ে বিকাশ ঘোষকে মারতে উদ্ধত হলে তখন শ্রী বিকাশ ঘোষ ও বাড়ির অন্যান্যরা প্রানের ভয়ে পালিয়ে জান
ধন্যবাদ, হিন্দুদের উপর নির্যাতন হওয়ার কাহিনী গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য।
এই অন্যায়-অবিচারগুলো আর মেনে নেওয়া যায় না এর বিহিত হওয়া দরকার ।