এটা শুধু সুন্দরবন রক্ষার রোমান্টিক আন্দোলন নয় ..
তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি তাঁদের আহাম্মকির কারণে এখন একটা ডিফেন্সিভ পজিশনে গেছে। তবে এখন তাঁরা যা যা করতে পারে সে বিষয়ে আমার কিছু পরামর্শ আছে। সেটা চাইলে তাঁরা বিবেচনা করতে পারেন।
প্রথমত স্বীকার করতে হবে তাঁদের বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি, ত্রুটি এবং আত্মম্ভরিতা ছিল। এবং যাদের কারণে তেল গ্যাসের ক্রেডিবিলিটি কমেছে এবং কমিটি সমালোচনার মুখে পড়েছে তাদেরকে আত্ম সমালোচনা করতে হবে।
এরপরে তাঁদের রামপাল প্রশ্নে মুল দাবীকে প্রাণ ও প্রকৃতির সংরক্ষণের দাবী হিসেবে তুলে ধরতে হবে। ‘রামপাল প্রকল্প অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে’ এমন হাস্যকর দাবী আর তুলবেন না সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তাঁদের বুঝতে হবে এটা শুধু সুন্দরবন রক্ষার রোম্যান্টিক আন্দোলন নয় বরং প্রাণ ও প্রকৃতির সুরক্ষার লড়াই। জীব বৈচিত্র্য রক্ষার লড়াই। তাই দাবি করতে হবে প্রকল্পটি পুরোটাই বাতিল করতে হবে।
কমিটিতে শাসক দল ব্যতীত সকল আগ্রহী রাজনৈতিক দল যারা এই ইস্যুতে একমত তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। ভিত্তি হতে হবে সরকারী বা বিরোধী দল কে তা নয়। বরং যারা কমিটির দাবীর সাথে একমত তারাই এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে। তারা বাম নাকি ডান, ইসলামি নাকি অইসলামি, স্যেকুলার নাকি নন স্যেকুলার সেই বিবেচনায় যাওয়া যাবেনা।
বিশেষ করে ইসলামপন্থীদের সাথে কথা বলতে হবে। এই আন্দোলনে কী আয়োজনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারে তা নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে হবে। প্রাণ ও প্রকৃতি আমাদের কাছে রাজনৈতিক দাবী হলেও তাঁদের কাছে এটা পবিত্র ধর্মীয় কর্তব্য। আল্লাহর সৃষ্টিকে সুরক্ষার কর্তব্য। তাই এই লড়াইয়ে তাঁদের আগ্রহ নিয়ে যুক্ত থাকার কথা।
এই কাজ করতে তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আগ্রহী হলেই একমাত্র সুন্দরবনের প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষা পাবে। নইলে আন্দোলনের তালুকদারি নিজের কব্জায় রেখে সুন্দরবন সহ প্রাণ ও প্রকৃতি ধ্বংস করার সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য জাতীয় কমিটিকে ইতিহাসের কাছে অপরাধী হয়ে থাকতে হবে।
댓글