আমার জীবনের গল্পঃ ১ম পর্ব
সারারাত না ঘুমিয়ে ক্লান্ত আমি, আম্মুকে বল্লাম আমার কোন ভাবেই ঘুম হচ্ছে না। আজও ওরা এসেছিলো। আম্মু চিন্তিত হয়ে চুপ করে রইলেন ২ মিনিট তারপর বল্লেন, তুই তখন অনেক ছোট, এই ৬/৭ মাস বয়স তোকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে আমি ঘরের কাজ করতাম।
তুই অনেক লক্ষি ছিলি সারাদিন ঘুমিয়ে কাটাতি। মাঝে মাঝে ক্ষুধা লাগলে উঠতি খেয়ে আবার ঘুম। একদিন সকাল ১১/১২ টার সময় হঠাৎ শুনি তুই জোরে জোরে শব্দ করছিস। আমি ভাবলাম তোর ক্ষুধা লেগেছে তাই দৌড়ে গেলাম। যেয়ে দেখি তুই খাটে নাই। আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম। ব্যপারটা কি, শব্দ আসছে কিন্তু বাবু গেলো কই..! মা খুজে দেখলেন আমি খাটের নিচে একদম শেষ মাথায় ওয়ালের পাশে শুয়ে শুয়ে হাত পা নাড়ছি। আম্মু তারাতারি করে আমায় বের করে আনলেন। কিন্তু কথা হলো আমি তখন অনেক ছোট আমি এত উচু খাট থেকে নামলাম কিভাবে..!? আর যদি পড়েও যাই তাহলে কান্না করতাম। আম্মু ব্যাপারটা অতটা গুরুত্ব দিলো না, আমায় খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে আবার রান্না করতে গেলো।
এরপর থেকে প্রতিদিন একই ঘটনা ঘটতে লাগলো একই সময়ে। একদিন হঠাৎ জোরে জোরে কান্নার শব্দে আম্মু দৌড়ে আসলো। দেখে আমি খাটের নিচে শেষ কোনায় উপুড় হয়ে পরে কান্না করছি। আম্মু আমায় আবার বের করে শুইয়ে দিতে যেয়ে দেখলো আমার গালে আংগুলের দাগ লাল হয়ে আছে। আম্মু ভয় পেয়ে গেলো এরপর আব্বু আসলে সব কিছু আব্বুকে বললো। আব্বু শুনে মসজিদের হুজুরকে ডেকে আনলো। হুজুর এসে বাসায় ঢুকলো না, বললো
Comentarios