{"items":["6038dfa93aec1f0043999fb7","5f7a29e05ea9e50017d49c62","5f491490b2fc920017e83f42","5f42b8e6d36d8b001817356f","5f3fd8543d97230017848e97","5f3fd0d89907940017c83e27","5f3b6453df442a0017741d68","5f3a850abf6a6e00179a6442","5e39776def6d680017318b27","5ef5594d79f0240017e4268c"],"styles":{"galleryType":"Columns","groupSize":1,"showArrows":true,"cubeImages":true,"cubeType":"fill","cubeRatio":1,"isVertical":true,"gallerySize":30,"collageAmount":0,"collageDensity":0,"groupTypes":"1","oneRow":false,"imageMargin":7,"galleryMargin":0,"scatter":0,"rotatingScatter":"","chooseBestGroup":true,"smartCrop":false,"hasThumbnails":false,"enableScroll":true,"isGrid":true,"isSlider":false,"isColumns":false,"isSlideshow":false,"cropOnlyFill":false,"fixedColumns":0,"enableInfiniteScroll":true,"isRTL":false,"minItemSize":50,"rotatingGroupTypes":"","rotatingCropRatios":"","columnWidths":"","gallerySliderImageRatio":1.7777777777777777,"numberOfImagesPerRow":3,"numberOfImagesPerCol":1,"groupsPerStrip":0,"borderRadius":0,"boxShadow":0,"gridStyle":0,"mobilePanorama":false,"placeGroupsLtr":true,"viewMode":"preview","thumbnailSpacings":4,"galleryThumbnailsAlignment":"bottom","isMasonry":false,"isAutoSlideshow":false,"slideshowLoop":false,"autoSlideshowInterval":4,"bottomInfoHeight":0,"titlePlacement":["SHOW_ON_THE_RIGHT","SHOW_BELOW"],"galleryTextAlign":"center","scrollSnap":false,"itemClick":"nothing","fullscreen":true,"videoPlay":"hover","scrollAnimation":"NO_EFFECT","slideAnimation":"SCROLL","scrollDirection":0,"scrollDuration":400,"overlayAnimation":"FADE_IN","arrowsPosition":0,"arrowsSize":23,"watermarkOpacity":40,"watermarkSize":40,"useWatermark":true,"watermarkDock":{"top":"auto","left":"auto","right":0,"bottom":0,"transform":"translate3d(0,0,0)"},"loadMoreAmount":"all","defaultShowInfoExpand":1,"allowLinkExpand":true,"expandInfoPosition":0,"allowFullscreenExpand":true,"fullscreenLoop":false,"galleryAlignExpand":"left","addToCartBorderWidth":1,"addToCartButtonText":"","slideshowInfoSize":200,"playButtonForAutoSlideShow":false,"allowSlideshowCounter":false,"hoveringBehaviour":"NEVER_SHOW","thumbnailSize":120,"magicLayoutSeed":1,"imageHoverAnimation":"NO_EFFECT","imagePlacementAnimation":"NO_EFFECT","calculateTextBoxWidthMode":"PERCENT","textBoxHeight":42,"textBoxWidth":200,"textBoxWidthPercent":75,"textImageSpace":10,"textBoxBorderRadius":0,"textBoxBorderWidth":0,"loadMoreButtonText":"","loadMoreButtonBorderWidth":1,"loadMoreButtonBorderRadius":0,"imageInfoType":"ATTACHED_BACKGROUND","itemBorderWidth":1,"itemBorderRadius":0,"itemEnableShadow":false,"itemShadowBlur":20,"itemShadowDirection":135,"itemShadowSize":10,"imageLoadingMode":"BLUR","expandAnimation":"NO_EFFECT","imageQuality":90,"usmToggle":false,"usm_a":0,"usm_r":0,"usm_t":0,"videoSound":false,"videoSpeed":"1","videoLoop":true,"jsonStyleParams":"","gallerySizeType":"px","gallerySizePx":412,"allowTitle":true,"allowContextMenu":true,"textsHorizontalPadding":-30,"itemBorderColor":{"themeName":"color_12","value":"rgba(237,237,236,0.75)"},"showVideoPlayButton":true,"galleryLayout":2,"calculateTextBoxHeightMode":"MANUAL","targetItemSize":412,"selectedLayout":"2|bottom|1|fill|true|0|true","layoutsVersion":2,"selectedLayoutV2":2,"isSlideshowFont":true,"externalInfoHeight":42,"externalInfoWidth":0.75},"container":{"width":397,"galleryWidth":404,"galleryHeight":0,"scrollBase":0,"height":null}}
অশরীরীর মায়াঃ শেষ পর্ব
কে, ঐখানে কে..!? (নীলয় ঘুম থেকে উঠেই পাশে পড়ে থাকা লোকটিকে দেখে ভয়ে শিউরে উঠে, গলদঘর্ম হয়ে চেচিয়ে উক্ত কথা বলে)
-- অামি রকি! অামাকে তুই চিনতে পারছিস বন্ধু??
-- রকি! বন্ধু অামার! (অারো বিহ্বল) তুই কি করে অাসলি এখানে??
-- অাসিনি রে বন্ধু! অামাকে কিডন্যাপিং করা হয়েছে! অার তুই..!!?? অামরাতো সবাই ভেবেছি তুই__?!?!

-- মরে গেছি! তাইতো ভেবেছিস?? কিন্তু অারো অবাক কান্ড কি জানিস, সেই মৃত তুলিও জীবিত হয়ে গেছে! অার অামাদের গাড়ি accident, জনির গাড়ি accident, সবই তুলি করিয়েছে! অার অামাকেও বাঁচিয়ে, এভাবে মেরে রেখেছে!!
-- কিন্তু কেমনে, কি করে হলো বন্ধু?? (অবাক হয়ে)
-- বাকিদের কথা জানি নারে(দীর্ঘশ্বাস)!! তবে রাফসান গাড়ি থেকে লাফ দিলে, একটু পর অামিও সাহস করে লাফ দিয়ে পাহাড়ের ঢাল হয়ে নীচে গড়িয়ে পড়ি! তারপর দুজন লোক অামার কাছে অাসে অার কিছু মনে নেই। তবে যখন চোখ খোলি, নিজেকে এখানে অাবিস্কার করি!
কথা বলার এ পর্যায়ে রুমের ভিতর দুটি floodlight জ্বলে উঠে! সূর্যের অালো পড়ার মতো করে, নীলয় ও রকির চোখ ঝলসে গেলো! চোখ কচলাতে কচলাতে আবিষ্কার করলো, দু'জন মানুষ ওদের সামনে দাঁড়িয়ে অাছে। দুজনই সুঠাম দেহের অধিকারী, একজন দেখতে কালো কিন্তু লালচে চোখ! অন্যজন ফর্সা কিন্তু রগচটা টাইপের!!
-- অনেক জ্বালিয়েছিস তোরা, অার নয়! এখন যা বলব সোজা জবাব চাই! কোন উল্টা পাল্টা জবাব দিলে... দরজা, লাইট অফ করে ফের চলে যাব!! (রোবটের মত করে, এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে দিলো "লাল চোখওয়ালা")
--- কিন্তু অাপনারা কে? অামাদের এভাবে, এখানে অাটকে রাখছেন কেন?? (হিংস্র ও ভয়ার্ত ভাবে কথাগুলো বলল রকি)
-- চুপ, একদম চুপ! অাগেই বলেছি কোন প্রশ্ন নয়, শুধু উত্তর চাই.. নয়তো সোজা নরকে নিক্ষেপ করব।। (চিবিয়ে চিবিয়ে কথাগুলো বলল, রগচটা লোকটা) এখন বল, অাজ থেকে ২ বছর অাগে তুলির সাথে কি ঘটেছিলো??
নীলয় ঘাবড়ে গিয়ে, হুড়হুড় করে সব বলে দিলো। শুরু থেকে একেক করে সবটা। শেষ হতেই একজন ভিডিও রেকর্ডিং বন্ধ করে দিলো (এতক্ষণ যে সমস্ত তথ্যাদি দিযেছে, সবটা রেকর্ড করা হয়েছে)। অার অন্যজন দু'সেট কাগজ, কলম নিয়ে অাসলো। ওদের দুজনের দিকে দিয়ে বলল,
-- এতক্ষণ যা যা বলেছিস, সবটা এই কাগছে বিবৃতি (স্টেটমেন্ট) দিয়ে নীচে সাইন করে দে! জীবনে অনেক পাপ করেছিস তোরা, পৃথিবীর মানুষকে এগুলো দেখাতে হবে, জানাতে হবে! তোদের মত চরিত্রের অারো যাঁরা অাছে, তাঁরা যেন তোদের দেখে শিক্ষা গ্রহণ করে! কোন ক্রাইম ই পারফেক্ট নয়। প্রতিটা অপরাধের ই শাস্তি অাছে!
কাগজ ও ভিডিও রেকর্ডার নিয়ে চলে যাবার পথে লাল চোখওয়ালা উল্টো ফিরে দাঁড়ায়! দাঁতে দাঁত কিটকিটিয়ে কিছু কথা বলে, যা শুনে রকি অার নীলয়র মাথা চড়কগাছের মত ঘোরতে থাকে! ওরা লাইট, দরজা অফ করে চলে যায়। গুহাতে অাবার অন্ধকার নেমে অাসে, কিন্তু নীলয় ও রকির চোখমুখ এখনো জ্বলছে! কথাটি শুনে অবাক হয়ে গেছে! ভাবতেই পরেনি এতদিন এমনটি ঘটেছে! দুজনেই সমুচ্চ স্বরে বলে...
--- ব্যারিস্টার মিলি..
খবরের শিরোনাম " ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে ৪ অাসামীর ফাঁসি কার্যকর"!! পত্র পত্রিকা থেকে শুরু করে সকল মিডিয়াতে (রেডিও, টেলিভিশন, অনলাইন সাইট ও অন্যান্য) ঘুরেফিরে একই খবর! কাল্পনিক ও অবাস্তব কেইসকে, বস্তবে সফলতার দুয়ারে এনে দিলেন উদীয়মানা ব্যারিস্টার মিলি। এটাই প্রথম কেইস, কিন্তু অবিশ্বাস্য সফলতা! অনেক নামীদামী, জ্ঞানী উকিল ব্যরিস্টারদের অাইডিয়ালে পরিণত!!
সুপ্রিমকোর্ট থেকে মাত্র ৩ দিনে, রকি, রাফসান, নীলয় ও জনির ফাঁসির অাদেশ নিয়ে অাসেন ব্যারিস্টার মিলি! সকল সাক্ষ্য প্রমাণ এমনভাবে উপস্থাপন করেন যে, অন্ধও বলে দিতে পারতো এরা ৪ জনই তুলিকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে...!!
মিলি, লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার ই পাশ করে বাংলাদেশ airport এ land করলে, মিলি যেন তুলি হয়ে যায়! ওর ভিতরে অন্য ওকজন বাস করতেছে এমন অনুভূত হয়! কি একটা প্রতিশোধের নেশা যেন চোখেমুখে অাভাস পাচ্ছে।
মিলি, বাবা-মায়ের সাথে সাক্ষাৎ না করেই তুলির কেইস হাতে নেয়। যদিও অাগেই promise করেছিলো, তুলির কেইস সমাধান না করে অন্য কোন কেইস হাতে নিবে না। কিন্তু সেটা এভাবে এত দ্রুত ব্রেণের ভিতর চলে যাবে কল্পনা করেনি। এমনকি মা বাবার সাথে সাক্ষাতের চেয়ে advanced.....
একটা মেয়ে এভাবে হারিয়ে যেতে পারে না! নিজের সাথে নিজেই কথাগুলো বলছে। এ যেন তুলির রক্ত/ অাত্মা সব মিলির শিরা উপশিরাতে মিশে গেছে। অবশ্য অাইনি পড়া অবস্থায়, তুলির কেইস অনেকবার স্টাডি করেছে ও। তখনই কিছু planing করে রেখেছে, "কি ভাবে কি করবে??"
তুলির কলেজ লাইফ, ভার্সিটি লাইফ, লাভ লাইফ, এমনকি কোচিং করানোর (তুলি একটা কোচিং পরিচালনা করতো) সময়কার সকল বিষয়ে রিসার্চ করে উপলব্ধ হয় যে, "something missing"
অার মিসিং টা হলো রকি!! কারণ তুলির ডায়েরি থেকে রকির নাম/শব্দ শুধু একবার পাওয়া গেছে, তাই কেউ কখনো সন্দেহ করেনি (পূর্বে যখন পুলিশ ইনভেস্টিগেশন করে, "তুলি মিসিং কেইস")। কিন্তু মিলি শূন্য থেকে শুরু করতে চাচ্ছে..!! একটা বড় ধামাকা দিতে যাচ্ছে জাতিকে। একটা নতুন লেসন।
রকিকে দু'দিন observed করে ওর Daily routine জেনে নেয় মিলি। রকি কোথায় যায়, কি করে, ওর ক্লোজ ফ্রেন্ড কে কে?? রকি যায় ই করুক দিনশেষে চার বন্ধু "ফোনে নয়তো মদের বারে" মিলিত হবেই। বাকিরাও সেইম, বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল।।
তুলির সথে মিলির চেহারা ৯৯% মিল থাকাতে খুব সহজেই জালে অাটকা পড়ে রকি। ওদের বন্ধুদের মধ্যে রকি ই রাগী ও রগচটা অার রাগীরা বরাবরই একটু বোকাসোকা টাইপের হয়! তাই ওকেই টার্গেট করে মিলি, নয়তো ওদের বন্ধুদের মধ্যে অন্য কেউ হতো টার্গেট!
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে, দূর থেকে রকির নজরে অাসার চেষ্টা করছে মিলি, কিন্তু হাবলুটা ঠিক বুঝতে/ধরতে পারছে না। সেদিন বাস স্টান্ডে ঠিক ধরা দেয় চান্দু অার মিলিকেই তুলি ভেবে গলদঘর্ম হয়ে জনি ও অন্যান্য বন্ধুদের ফোন করে।।
ওদের চার বন্ধুর ফোনই অাগে থেকে ট্র্যাকিং করে রেখেছিলো মিলি। তাই ওদের সমস্ত কথাবার্তা রেকর্ড হয়ে যায়। সব শুনার পর, মিলির শরীরে যেন তুলির অশরীরী অাত্মা ভর করে। রকি, রাফসান ও অাবিদ safe place এ থাকাতে, টার্গেট হয় জনি!
জনির accident ঘটানোর পরে শিকার হয় নীলয় ও রাফসান। মিলিকে এ সমস্ত কাজে ১ জন ড্রাইভার ও টেকনিশিয়ান যথেষ্ট help করছে যদিও টাকার বিনিময়ে। (লালচোখ ওয়ালা ড্রাইভার অার ফর্সাটা টেকনিশিয়ান) শাস্তি ও তথ্যাদি গ্রহণ করার পরে কেইস কোর্টে তোলা হয়। তারপরই ফাঁসি কর্যকর.....
জজের কাছে মিলির শেষ বক্তব্য টা এমন ছিলোঃ মী লর্ড, কোন ক্রাইম ই পার্ফেক্ট না। কোন ক্রিমিনালও পার্ফেক্ট না। অামরা (অাইনের লোক) যদি কোন রকম সুতা ধরে টান দিতে পারি, পুরা লাটাই চলে অাসবে। শুধু দরকার সদিচ্ছা। যদি বসে থাকলেও সরকার টাকা(বেতন) দেয়, তবে কি দরকার পরিশ্রমের! বরং বসে বসে facebook, messenger, whatsapp, viber, imo, tiktok সহ সকল Social media তে মাস্তি করি।। মাস শেষে বেতনতো পাবই ই....
অামাদের সিস্টেম টাকে চেঞ্জ করতে হবে মী লর্ড। যোখানে সিনিয়র অফিসার ঘুষ খাবে, সেখানে জুনিয়রা তো লুট করবে এটাই স্বাভাবিক। অামরা ছোটরা বড়দের দেখে শিখি। তাই প্রত্যেক সিনিয়রের নৈতিক দায়িত্ব হবে নিজে ভুল কিছু করব না, অামার অধীনস্থদেরও clean & holy রাখবো।
পেশাকে টাকা তে নয়, জীবনের অংশ হিসাবে ভালোবসতে হবে! তবেই জয়, সফলতা, সম্মান, গৌরব ও............
এখন শুধু একটাই প্রশ্ন সবার মুখে মুখে, কে এই উদীয়মান সফল ব্যারিস্টার মিলি?? কে সে
-- মিলি তোকে অামার খুব ভালো লাগে! চল না একদিন নৌকায় ঘুরি, নয়তো সিনেমা দেখতে যায়!!
--- সিয়াম তুই অামার ক্লাসমেট, তাই তোর ভালোর জন্যেই বলছি.... তাড়াতাড়ি ভাগ এখান থেকে! তুলি যদি আশেপাশে থাকে, তোর কপালে বটি দা নিশ্চিত..
যখন মিলির বয়স ১০ বছর তখন এ কথাটি বলেছি, ওর সহপাঠী সিয়ামকে! তো এ কথাটি বলার পিছনে অারো অনেক কারণ লুকিয়ে অাছে! তাহলে চলুন #অাজ_থেকে_২৫_বছর_পিছনে, জেনে নেয়া যাক এ গল্পের মূল রহস্য....
তুলি অার মিলি যমজ দুই বোন! চলনে, বলনে, গঠনে একই রকম। তাই দুজনের পছন্দ, অপছন্দ গুলোও সেইম সেইম। তাই বরাবরই একই রকম জুতা, কাপড়, প্রসাধনী কিনে দিতে হয়। তাছাড়া ক্লাসের শিক্ষকও যদি একজনকে বেত্রাঘাত করে, অপরজনের ব্যথা অনুভূত হয়! বড়ই মিরাক্কেল ঘটনা!!
একবার কি হলো?? মিলির একটা ছেলেকে খুব পছন্দ হয়েছে, তো ভালো লাগা থেকে ভালোবাসার প্রবনতা বাড়ছে। ভিতরে ভিতরে অনুভূতি, শিহরণ কাজ করছে! ওমা সাথে সাথে তুলির শরীরে ম্যাগনেটিক ভাবে শিহরিত হচ্ছে। যেন ওই তাঁর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। তাই ওরা সব সময়ই সতর্কতা/সমঝোতার সহিত দিন অতিবাহিত করার চেষ্টা করতো, যেটাকে অাপনারা sharing, caring বলেন অারকি!! তবুও accident লেগেই থাকতো!
তবে কেউ কাউকে ছেড়ে দূরে থাকলে এমনটি হতো না। যেমন একবার তুলি খুব অসুস্থ্য হলো, অবশ্য ওরা ১ জন অসুস্থ্য হলে অন্যের উপরেও কিছুটা প্রভাব পড়ে। তো যাহোক.. থানা, জেলা ও বিভাগীয় হাসপালে চিকিৎসা দিয়েও সুস্থ্য হলো না! তাই তুলিকে নিয়ে দেশের বাহিরে যেতে হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য।
কিন্তু মিরাক্কেল বেপার হলো, তুলি যতদিন দেশের বাহিরে ছিলো ততদিন ওদের দু'জনের মাঝে কোন প্রভাবই কাজ করেনি! দিব্যি নিজ খেয়ালে চলতে পারছে, একে অন্যের সুখ দুঃখে ওহ্ - অাহ্ করা ছাড়াই! এ ঘটনাগুলি ওদের গ্রামের সবাই অবগত।।
তাই ওরা যখন HSC complete করে, তখন সবাই মিলে যুক্তি পরামর্শ করে দুজনকে আলাদা করার প্রসেসিং করে! অবশ্য মিলি খুব ভালো student ছিলো, তাই রেজাল্টও বরাবর ভালো করে। যেহেতু অালাদা করার planing চলছিলো, তাই মিলিকে দেশের বাহিরে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলো! স্টুডেন্ট ভিসা করে, কানাডা পাঠানো হলো!
এদিকে তুলিও স্টাডি শেষ করে, ঢাকাতে একটা কোচিং পরিচালনা করছে। পাশাপাশি জবের চেষ্টাও চালাচ্ছে। বাবা মায়ের সাথেই থাকে একই ফ্ল্যাটে, যেটা রকি, রাফসান, নীলয় ও জনিদের এলাকা (পর্ব ১)।
তুলি, রাজ নামের একটি ছেলেকে love করে। ওদের ৫ বছরের relationship এটা। অবশ্য ওরা দুজনেই একই বর্ষের student ছিলো, শুধু বিভাগ ভিন্ন।
যখন গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেও চাকরি হলো না, তখন ওরা দুজনে মিলে একটা কোচিং খোলে। অল্পদিনেই ওদের পরিশ্রমে ব্যাপক সাড়া পড়ে। দিন ভালোই যাচ্ছিলো, মুহুর্ত গুলোও উপভোগ্য ছিলো.. কারণ ওদের প্রেম করার জন্যে লোকেশন সিলেক্ট ও ফ্রী টাইম করার মতো ঝামেলা পোহাতে হতো না। সব সময়ই, সব জায়গাতে একে অন্যের সাথে বিন্দাস!!
কথায় বলে, "সুখের সময় খুবই অল্প হয়"! বাস্তবেও তাই ঘটলো, কারণ রকির কুনজরে পড়ে গেলো তুলি! অলিগলি, রাস্তার মোড়ে এমনকি কোচিং অব্ধি ওর দৌরাত্ম বেড়ে গেলো! যখন তখন পথ অাগলে দাঁড়ানো, হাত ধরার চেষ্টা করা! সেদিনতো গলিতে ওকে একা পেয়ে জড়িয়েও ধরার চেষ্টা করে, কোনভাবেই রকিকে কন্ট্রোল করতে না পেরে শেষমেশ গালে থাপ্পড় মারতে বাধ্য হয়!
রকি কোনমতেই ইহা মেনে নিতে পারেনি, গালে থাপ্পড়, চরম অপমান.. এ অপমানের প্রতিশোধ নিতেই হবে! প্রচুর ড্রিংকস করে, মাথায় অাগুন জ্বালিয়ে দেয়! চার বন্ধু মিলে planing করে, যে করেই হোক তুলিকে চাই ই চাই। তারপর তুলিকে কিডন্যাপড ও.........!!
তুলিকে বলা হয় সন্ধ্যা আরতি! কারণ ও যেখানেই থাকুক না কেন, ঠিক সন্ধ্যার অাগে বাসায় চলে অাসবে! তুলির বাবা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৮ টা, টিভিতে খবর দেখতে মেয়ের কাছে ফোন করে। কিন্তু নং বন্ধ! যতবারই ট্রাই করছে বন্ধ দেখাচ্ছে! রাজকে ফোন করা হলো, ও জানালো তুলিতো ৫ টায় বের হয়ে গেছে। অারো বলল, অাংকেল অামি খুঁজ নিচ্ছি অাপনি চিন্তা করবেন না।
রাত ১০ টা, তুলির কোন খবর নাই। মেয়ের জন্যে অপেক্ষা করা থেকে এবার ভয় করা শুরু করলো। কোথায় যেতে পারে? যে মেয়েটা সন্ধ্যার অাগে বাসায় ফিরে, ঝড় বাদল যায় থাকুক! চিন্তা করে দিশে হারা অবস্থা।
রাত ১২ টা, পুলিশ স্টেশনে বসা একটা পরিবার সাথে রাজও। চোখে ঘুম নেই, মাথাতে হাজারো নেগেটিভ চিন্তা ঘোরপাক খাচ্ছে। এরমধ্যে অাবার পুলিশের কুরুচিপুর্ণ হাজারো প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে ক্লান্ত ওরা।
মেয়ে নিখোঁজ মানেই কি পালিয়ে বিয়ে করছে নয়তো বন্ধুদের সাথে নেশা করে মাস্তি করছে?? ছিঃ ছিঃ এরা মানুষ নাকি জনোয়ার?? ওদের ঘরে কি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয় না??
পরেরদিন অাত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে সবাই জেনে গেলো, তুলি নিখোঁজ! ৯০% মানুষের ধারণা মেয়েটি নিশ্চয়ই কোন কুকর্ম করেছে..... অনেক চেষ্টা ও তপস্যা করেও তুলির কোন খবর পাওয়া গেলো না!
ওদিকে বিদেশের মাটিতে, মিলি শুধু চোখের জল মুছলো অার বাবা মাকে হাজারো সান্ত্বনা দিলো। যদিও ওর বুকে অাগুন জ্বলছে, "অামার সোনা বোনটি এভাবে নিখোঁজ/হারিয়ে যেতে পারে না?? চোখ বন্ধ করলেই, হাজারো জীবন্ত স্মৃতি ভেসে বেড়ায়! তখনই মিলি প্রমিজ করেছিলো, অামার বোনকে অামি খুঁজে বের করবই! নিন্দুকের মুখে ছাই ছিটাবই...!!
তুলি তোকে অনেক ভালোবাসিরে, দেশের মাটিতে তোকে ছাড়া অচল মিলি! অামাদের শরীর ভিন্ন কিন্তু অাত্মাতো একটাই! তুই অামার অার একটি দেহপ্রাণ, অামরা সব সময়ই অশরীরী মায়াতে অাবদ্ধ। তুই যেখানে অামি সেখানে, কখনো ছেড়ে থাকতে পরবো না!!
যার দরুন অাজ ওদের ৪ জনেরই ফাঁসি কার্যকর!!
নোটঃ কোন ক্রাইম'ই পার্ফেক্ট নয়, সাথে ক্রিমিনালও! সত্যের জয় সব সময়ই, সেটা দু'দিন আগে কি পরে। তাই আসুন মিথ,অন্যায় ও অবিচার থেকে নিজেকে হেফাজত রাখি, অন্যকেউ রাখতে উৎসাহিত করি।। সমাপ্ত
0 comments