Just Another Bangladeshi

Apr 16, 20191 min

৭১- এর গণহত্যার দায়ে পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার দায়িত্ব তো বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের

বাংালীদের উপড় দুইবার সিস্টেমিক জেনোসাইড চালানো হয়েছে ব্রিটিশ আমলে প্রথম ১৭৭০ সালে যা ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত। ১৭৭০ সালে বৃহৎ বাঙলার জনগোষ্ঠী ছিল ৩ কোটি, এই জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ এক কোটি মানুষ মারা গিয়েছিল সেই দুর্ভিক্ষে। এর পরে ১৯৪৩ সালে পঞ্চাশের মন্বন্তর তখন মারা গিয়েছিল ৫০ লক্ষ মানুষ। গণহত্যার স্বীকৃত সংজ্ঞায় এগুলো সবই গণহত্যা। বাঙ্গালির উপরে শেষ গণহত্যা চলে ১৯৭১ এ, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও বাঙালি রাজাকার, আল্বদর, আল শামসের হাতে মোট তিরিশ লক্ষ বাঙালি নিহত হয় এই গণহত্যায়।

“পাকিস্তানিদের অবিশ্বাস” করার বয়ান দানকারী হুমায়ূন আজাদের অনুসারীরা দাবী করেছেন এই পাকিস্তানিদের প্রতি এই “ঘৃণা” যৌক্তিক। কারণ তারা ৭১ এ কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা চায়নি। ফেরার এনাফ। এইবার প্রথম গোল্ডেন কোশ্চেন; পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়াতে বাধ্য করার দায়িত্ব তো বাংলাদেশের ক্ষমতায় যারা আছেন তাঁদের। এবং এই কাজ করতে হবে আন্তর্জাতিক মবিলাইজেশনের মাধ্যমে, কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে। কেউ চাপে না পড়লে নিজের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চায়না। সেই চাপ সৃষ্টির দায় এবং দায়িত্ব সরকারের। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল গুলো কি এই কাজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করে? যদি করতো তাহলে তাঁদের নির্বাচনী ইশতেহারে এই কাজটি একটি নির্বাচনী অঙ্গীকার হিসেবে থাকতো। আছে এটা কোন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে? বি এন পি, আওয়ামী লীগ কারো রাজনৈতিক ইশতেহারে?

এবার দ্বিতীয় গোল্ডেন কোশ্চেন। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে নেবার জন্য বাংলাদেশের স্যেকুলাররা কী কী দায়িত্ব পালন করেছে?

তৃতীয় গোল্ডেন কোশ্চেন। বৌদ্ধ বাঙালি গণহত্যার জন্য কি কর্ণাটকের হিন্দুদের “অবিশ্বাস” করার প্রবচন কবে আসবে? ১৭৭০ আর ১৯৪৩ এ বাঙালি মেরে ছাফা করে দেয়ার জন্যও কি ব্রিটিশদের “অবিশ্বাস” করার একটা প্রবচন আসবে?

    3