Just Another Bangladeshi

Feb 1, 20132 min

ফিরে আসা

আজ ভাবনির ষোলতম জন্মদিন।আর এজন্য আশরাফ চৌধুরী অনেক বড় করে তার মেয়ে ভাবনির ষোলতম জন্মদিনটা পালন করছেন নিচের ডয়িং রুমে।

আর ভাবনি আজকে অনেক খুশি। একটু আগে ভাবনির মা আয়েশা বেগম রুমে এসে ভাবনিকে নিচে কেক কাটার জন্য নিচে আসতে বলেন।

ভাবনি যখন সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসছিল তখন সবাই শুধু তার দিকেই চেয়েছিল। মনে হচ্ছেলো সিঁড়ি দিয়ে ভাবনি নয় কোন পরির দেশের রাজকন্যা নামছে।

তারপর ভাবনি নিচে নেমে আসে। সবাই এখন কেক কাটার জায়গায় এসে জয় হয়েছে।

কেকের মধ্যে অনেক মোমবাতি জ্বলছিল ভাবনি সবগুলো ফুঁ দিয়ে নিবিয়ে দেয়।

ভাবনি যখন কেক কাটার জন্য ছুরিটা হাতে নেয়।হঠাৎ তখনি পুরো ডয়িং রুমটা কাঁপতে শুরু করে। এবং রুমে যত লাল নীল বাতি জ্বলছিল সব নিবে গেল। আর কোথা থেকে যেন দমকা হাওয়া এসে ডয়িং রুমের কিছু যেন উয়িয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। তারপরই হঠাৎ একটা বিভৎস অট্রহাসি শুনা যায়। যে হাসির শব্দে সবাই ভয়ে কাঁপতে শুরু করে।

তারপর হঠাৎ হাসি বন্ধ হয়ে যায়।আর তখন আশরাফ চৌধুরী চিৎকার করে বলেন কে তুমি এবং কি জন্য এখানে চৌধুরী

এরপর একটা মহিলার কন্ঠ শুনা যায়।

আসরাফ চৌধুরী চিনতে পারছনা আমাকে। তারপরই একটা ভয়ন্কর চেহারার আত্মার অবয়েব ভেসে উঠে । আত্মার চেহারা দেখার পর আশরাফ চৌধুরী ভাবনিকে শক্ত করে ধরে রাখে।

ঐ আত্মাা বলল আমি কি চাই আশরাফ চৌধুরী তুমি ভাল করেই জান। আমি তোমার মেয়ের জীবনটা চাই।

তারপর সব শান্ত । ঘরের বাতিগুলো সব জ্বলে উঠে। যেন এতক্ষনের সব ঘটনার কিছুই হয়নি। সব মেহমান চলে যাওয়ার পর আয়েশা বেগম আর ভাবনি আশরাফ চৌধুরী কাছে আসে। আয়েশা বেগম বলল- ঐ আত্মাটা কার,আর ও আমার মেয়ের জীবনটা কেন নিতে চায়।

আশরাফ চৌধুরী নিশ্চুপ!

এভার ভাবনি তার বাবার গলা জড়িয়ে ধরে বলে বাবা ঐ আত্মাটা কি সত্যিই আমার জীবনটা নিয়ে নিবে।

একথা শুনার পর আশরাফ চিৎকার করে উঠে বলেন- না না না আমি ওকে কিছুতেই আমার মেয়ের জীবন নিতে দিব না। এ বলে আশরাফ চৌধুরী কাঁদতে শুরে করে ভাবনিকে বুকে জড়িয়ে ধরে।

এরপর আশরাফ চৌধুরী বলেন তোমরা জানত চাও এটা কার আত্ম,এবং সে কেন ভাবনির জীবনটা চায়।

তাহলে শুনো - আজ থেকে ষোল বছর আগে যখন ভাবনির

    2