Just Another Bangladeshi
Jan 31, 20202 min
ইসলাম প্রচারকদের প্রপাগান্ডার হাত থেকে রক্ষা পায়নি ব্যাকটেরিয়াও। যদিও কুরআনের কোথাও ব্যাকটেরিয়া বিষয়ক কোনো তথ্য প্রদান করা হয়নি, তবুও কিছু ইসলাম প্রচারকদের দাবি, ব্যাকটেরিয়ার কথা কুরআন ১৪০০ বছর আগেই বলেছে।
ব্যাকটেরিয়া আণুবীক্ষণিক এবং জুতায় প্রচুর পরিমাণে থাকে। প্রথম সংস্পর্শেই জুতা থেকে পরিষ্কার টালি মেঝেতে ব্যাকটেরিয়া যায়। এবিষয়ে মানুষ জানে বেশিদিন হয়নি, তবে আবিষ্কারের ১৪০০ বছর আগেই কুরআনে এটি বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ্ মূসা (আঃ) কে জুতা জোড়া খুলে ফেলতে বলেন।
[কুরআন ২০ঃ১২] নিশ্চয়ই আমি তোমার রব; সুতরাং তোমার জুতা জোড়া খুলে ফেলো, নিশ্চয়ই তুমি পবিত্র “তুওয়া” উপত্যকায় রয়েছো।
আল্লাহ্ মূসা (আঃ) কে জায়গাটি অপবিত্র না করতে জুতা জোড়া খুলে ফেলতে বলেন। আজ আমরা জানি কেন জুতা পায়ে কোনো পবিত্র স্থানে পা দিতে নেই, কারণ জুতা অপবিত্র ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়।
১৪০০ বছর আগের একজন মূর্খ লোক কিভাবে জানতে পারলো, জুতা জায়গাটি অপবিত্র করতে পারে? [১]
20:12
اِنِّیۡۤ اَنَا رَبُّکَ فَاخۡلَعۡ نَعۡلَیۡکَ ۚ اِنَّکَ بِالۡوَادِ الۡمُقَدَّسِ طُوًی ﴿ؕ۱۲﴾
Bengali – Bayaan Foundation
নিশ্চয় আমি তোমার রব; সুতরাং তোমার জুতা জোড়া খুলে ফেল, নিশ্চয় তুমি পবিত্র ‘তুওয়া’ উপত্যকায় রয়েছ’।
এই আয়াতটি পড়ে একজন মানুষ কেন মনে করবে এখানে ব্যাকটেরিয়ার ইংগিত দেওয়া হয়েছে সেটা আমার কাছে কোনোভাবেই বোধগম্য হচ্ছে না। আয়াতটি না ব্যাকটেরিয়ার ব্যাপারে কিছু বলছে, না আয়াতটি থেকে কোনোভাবে ব্যাকটেরিয়ার ইংগিত পাওয়া যাচ্ছে।
আমাদের কেন এটা ধরে নিতে হবে যে, আয়াতটিতে বোঝানো হয়েছে, ব্যাকটেরিয়ার কারণেই মূসাকে জুতা খুলে ফেলতে বলা হয়েছে? কারণটি স্রেফ ময়লা হতে পারে। কারণটি স্রেফ পবিত্র উপত্যকার মর্যাদা হতে পারে।
তাছাড়াও, মানুষের পায়ের তলায়ও প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে। পা ব্যাকটেরিয়ার নাগালের বাইরে রাখার জন্য কেউ জুতা পরে না। জুতা পরে ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে পালানো যায় না। অতএব, এটা খুব অর্থহীন অনুমান যে, আয়াতটিতে ব্যাকটেরিয়ার কারণে জুতা খোলার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও, “তোমার জুতা জোড়া খুলে ফেলো” কথাটি কুরআনের হাজার বছর আগে ওল্ড টেস্টামেন্টে উল্লেখিত হয়েছে।
তখন প্রভু বললেন, “আর কাছে এসো না। পায়ের চটি খুলে নাও। তুমি এখন পবিত্র ভূমিতে দাঁড়িয়ে আছো।”
Bible, Exodus 3:5, 6th century BC
কুরআনের লেখক নতুন কিছুই উল্লেখ করেনি। মুসলিমরা যদি এটি মিরাকল বলতে চায়, তাহলে তাদের উচিত এটি বাইবেলের মিরাকল বলা।
আপনার কুরআনে অবশ্যই ব্যাকটেরিয়া আছে। কিন্তু, তাতে ব্যাকটেরিয়ার মিরাকল নেই।
তথ্যসূত্রঃ