Just Another Bangladeshi

Dec 21, 20151 min

কোরানের তিনটি আয়াতঃ

১.
 
গণীমতের মাল হল আল্লাহর এবং রসূলের। (৮:১) ।

√ এ থেকে আমরা কি বুঝতে পারি একটু বুঝিয়ে দেয়ার লোক কি আছেন কেউ?

একটু ব্যপকভাবে বুঝাবেন। কারন গনিমতের মাল কি কি হতে পারে এবং তা আল্লা কি কি ভাবে নিতে পরেন তাও একটু পরিষ্কার হওয়া দরকার। কারন আল্লা কোরান লিখেছেন আর বলেছেন অত্যন্ত সহজ ভাষায় নাকি লিখেছেন। এখানে ভাষাটা ভাষাটা সহজ হলেও এট তাৎপর্য বড়ই কঠিন ঠেকছে আমার কাছে।
 
_______________________________________________

২.
 
যা কিছু তোমরা গনীমত হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ হল আল্লাহর জন্য, রসূলের জন্য, তাঁর নিকটাত্নীয়-স্বজনের জন্য এবং এতীম-অসহায় ও মুসাফিরদের জন্য । (৮:৪১) ।

√ এখানে এসে আল্লা আবার এক চতুর্থাংশ যারা অর্জন করেছে তাদেরকে ছেড়ে দেবার কথা চিন্তা করলো কেন?
 
√ এই চিন্তাটা আগে করেনি কেন?
 
√ গনিমতের মাল যদি আল্লার দরকারই হয় তাহলেতো সে এমনিতেই সব নিয়ে নিতে পারে। শুধু গনিমত কেন আপনাদের মতে পৃথিবীর সমস্ত কিছুইতো আল্লার। তখন আবার প্রয়োজন বা অপ্রয়োজনের কি আছে?
 
√ কিন্তু এখানে এসে সে যারা উপার্যন করেছে তাদেরকে ছেড়ে দেবার কথা চিন্তা করলো কেনো?
 
________________________________________________
 
√ তার মানে কি আল্লার সমতুল্য কেউ আছে বা থাকতে পারে যাকে আল্লা তার সম্পদের ভাগ দিয়ে দিতে পারেন বা দেয়ার কথা চিন্তা করেছেন?
 
---------------------------------------------------------------------------
 
√ তাহলে এক পঞ্চমাংশ কেন আল্লার জন্য রেখে দিতে বলেছেন?
 
√ এমন কথায় কী আল্লা তার নিজের অবস্থানকে দুর্বল করে ফেলছেন কি-না?
 
________________________________________________

৩.
 
পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। (১০:৬৪)

বর্তমান পৃথিবীতে এমন একজনও লোক দেখাতে পারবেননা যে আল্লার কোরানের সমস্ত আয়াতগুলোকে মেনে জীবন পরিচালনা করে বা করতে পারে। কারন তাহলে তার জন্য সম্পর্ন আলাদা একটা পৃথিবী লাগবে যেখানে সে যা করবে অন্য কেউ তা দেখতে আসবে না।

একচুলও ফাঁক না দিয়ে, সম্পূর্ন চিন্তা করে তারপর এ পোষ্টের বিপক্ষে যাবেন দয়াকরে।

    1