Just Another Bangladeshi
Feb 15, 20191 min
বর্তমানে ফেয়ার ইলেকশন হলে অনেকেই আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন না। ফলে তাদের পক্ষে জয়লাভ সম্ভব নাও হতে পারে। এ কথা সত্য প্রমাণিত হলে আমাদের দেশের মঙ্গল হবে কি হবে না, তা কিন্তু নির্ভর করবে আওয়ামী লীগের এই শূন্যস্থান কে দখল করছে তার ওপর। এ কথা অন্তত নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, ওই শূন্যস্থানে কোনো উন্নততর বিকল্প না এসে যদি জামায়াত বা অনুরূপ কোনো দক্ষিণপন্থি প্রতিক্রিয়াশীল দল বা জোট আসে, তাহলে অবস্থার কোনো উন্নতি হবে না, বরং অবনতির আশঙ্কাই বেশি।”
সিপিবি নেতা এম এম আকাশ, সমকাল পত্রিকায় লেখা
ক্ষমতায় এক্স ওয়াই জেড যেই আসুক, সে যদি একটা ফেয়ার ইলেকশনে জিতে আসে তাহলে আকাশ ভাইদের সমস্যা কোথায়? একবার উনি রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে উনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মুল করার জন্য ওকালতি করেছিলেন, এইবার বলতে চাইছেন ফেয়ার ইলেকশন হলে তো জামাত ক্ষমতায় আসবে। যেই জামাতের ভোট ৩-৭% যেই দল গত দশ বছর নিজেদের বাঁচাতে ব্যস্ত, যাদের নেতা কর্মির একটা অংশ নিজেদের বাঁচাতে ক্ষমতাশীন দলে যোগ দিয়েছে, আকাশ ভাই ভয় দেখাচ্ছেন সেই দল ক্ষমতায় আসবে বলে।
এই বয়ান আসলে ইণ্ডিয়ান বয়ান। ২০১৪ র নির্বাচনের আগে ইণ্ডিয়ান সচিব সুজাতা এসে এই কথাই বলেছিলো এরশাদকে। সুজাতা বলেছিলো, এরশাদ দাদা আপনি ইলেকশনে না এলে তো জামাত ক্ষমতায় আসবে। এরশাদ বুঝে হোক না বুঝে হোক মিডিয়াতে এইটা বলে দিয়েছিলো।
উনারা পাবলিকরে বেকুব মনে করেন। ছোটবেলায় অসুস্থ বাচ্চাদের মায়েরা যেমন তিতা ট্যাবলেট রসগোল্লার মধ্যে ভরে বাচ্চাকে খেতে দেন তেমনি আকাশেরা ইণ্ডিয়ান বয়ানকে “রাজনীতির বিশ্লেষণ” বলে হাজির করেছেন।
আকাশ ভাই যদি জিজ্ঞেস করেন, রসগোল্লা খেয়েছ বাবু? আপনারা বাধ্য ছেলের মতো মাথা নেড়ে উত্তর দিয়েন-
হ্যা খেয়েছি, আকাশ ভাই, ভিতরের ইণ্ডিয়ান বিচিটা ফেলেই খেয়েছি।